সপ্তম শ্রেনী । ভূগোল । পরিবেশ ও মানুষ । সপ্তম অধ্যায় । জল দূষণ । Class 7th Geography Chapter -7 Questions And Answers water pollutation

 পরিবেশ ও মানুষ
সপ্তম অধ্যায়
জল দূষণ 

নদীমাতৃক আমাদের দেশ মাতৃজ্ঞানে গঙ্গা নদীকে পুজো শুরি। জল আমাদের জীবন জল ছাড়া আমরা এক মুহূর্ত বাঁচতে পারি না। অথচ বর্ষাকালে দূষিত জল ব্যবহার করে কেউ কলেরা, আমাশয়, আন্ত্রিক, জন্ডিস, টাইফয়েড, পোলিয়ো এমনকি মৃত্যু হতে পারে। গত কয়েক দশকে গঙ্গা গড়ে ওঠার ফলে প্রচুর বিষাক্ত আবর্জনা নদীর জলে মিশে নদীর জলকে দূষিত করে। কৃষ্ণা, কাবেরি, যমুনা, গোদাবরী জৈব পদার্থ জীবাণু মিশে গিয়ে জল মানুষ এমনকি অন্য জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীর বসবাসের অনুপযুক্ত হয়ে উঠেছে।

তাই সভ্যতার বিকাশের সঙ্গে তাল মিলিয়ে আমাদের সকলের কর্তব্য হল জলকে বিশুদ্ধভাবে জীবজগতের নিকট পৌঁছে দেওয়া।

জলদূষণের কারণ :

বর্তমানে জনসংখ্যা বাড়ার সাথে সাথে বেড়েছে শহরাঞ্চলের বিস্তার, শিল্প, কারখানা, যানবাহন। এর ফলে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার জলের সঙ্গে মিশে জল দুষিত করেছে। নানাভাবে পৃথিবীর রুল দূষিত হচ্ছে শিল্পকারখানা থেকে, গৃহস্থালি থেকে, কৃষিক্ষেত্র থেকে, তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে, খনিজ তেল থেকে, তাপমাত্রা, বায়ুদূষণ, আর্সেনিক দূষণ। এইসব কারণে সমস্ত জীবজগতের বেঁচে থাকার জন্য অবশ্য প্রয়োজনীয় জল দূষিত হচ্ছে।

জলদূষণের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি :

১৯৩২ সালের জাপানের মিনেমাটা উপসাগর, উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতে হলদিয়া নদীতে, কেরালা, ওড়িশা, অন্ধ্রপ্রদেশ,উপরোক্ত জায়গাগুলিতে নানা কারণে জল দূষণের ফলে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া জালে আর্সেনিক মাত্রা বাড়ায় বিভিন্ন রকমের দুরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিচ্ছে।

জলদূষণের সাম্প্রতিক ঘটনাবলি :

১৯৩২ সালের জাপানের মিনেমাটা উপসাগর, উপসাগরীয় যুদ্ধে কুয়েতে হলদিয়া নদীতে, কেরালা, ওড়িশা,অন্ধ্রপ্রদেশ, উপরোক্ত জায়গাগুলিতে নানা কারণে জল দূষণের ফলে প্রচুর ক্ষতি হচ্ছে। তাছাড়া জলে আর্সেনিক মাত্রা বাড়ায় বিভিন্ন রকমের দুরারোগ্য ব্যাধি দেখা দিচ্ছে।

দূষণ প্রতিরোধ :

বর্তমান ভারতের অধিকাংশ মানুষের বিশুদ্ধ জল। নিম্নলিখিত উপায়ে জলকে দূষণমুক্ত করা যায় বিশুদ্ধ জল।নিম্নলিখিত উপায়ে জলকে দূষণমুক্ত করা যায় যথা, জলাশয়গুলোতে নোংরা বর্জ্য পদার্থ না ফেলা, কৃষিক্ষেত্রে বিষাক্ত কীটনাশক না প্রয়োগ করা। বর্জ্য তরলগুলোকে শোধন করে ত্যাগ করা ইত্যাদি। কিন্তু আমরা সব জেনেও নিয়ম পালন করি না।

পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর

তোমার বাড়ির অ্যাকোরিয়ামের জলে যদি কোনোভাবে একটু ফিনাইল বা কেরোসিন তেল মিশে যায়। তবে কি মাছগুলো আর বাঁচবে?

উত্তর। মাছগুলো বেঁচে থাকবে না। অ্যাকোরিয়ামের জলে ফিনাইল বা কেরোসি তেল মিশে গেলে জল বিষাক্ত হওয়ার ফলে মাছগুলো মরে যাবে।


অনুসন্ধান :

01. পানীয় জল কোথা থেকে পড়ে?

উত্তর। বাড়ির ট্যাপকল থেকে পানীয় জল পাই।

02. পানীয় জলে তখনো ঘোলাটে ভাব, নোংরা দুর্গন্ধ পেয়েছো?

উত্তর। কখনো কখনো ঘোলাটে ভাব থাকে।

03. পানীয় জল কোনো উপায়ে বিশুদ্ধ জল ব্যবহার করো?

উত্তর। পানীয় জলকে যন্ত্রের মাধ্যমে বিশুদ্ধ করে ব্যবহার করি।

04. গত তিন মাসে তোমার বাড়িতে পড়ায় বা তোমার ক্লাসে কি কেউ পেটের অসুখে ভুগেছে?

উত্তর। আমার ঠাকুমার একমাস আগে পেটের অসুখ হয়েছিল,

 05. বাড়ির আবর্জনা জঞ্জাল কোথায় ফেলা হয়।

উত্তর। বাড়ির আবর্জনা ফেলার জন্য বা ভিতে বাড়িতে মিউনিসিপ্যালিটি থেকে ডাস্টবিন পাঠানো হয়, আমরা সেখানে ময়লা ফেলি।

 06. বাড়ির শৌচাগারের জল কোথায় মেশে?

উত্তর। সৌচাগারের জল নালা দিয়ে বয়ে গিয়ে নদীতে মেশে,

 07. বাড়িতে প্রতিমাসে কতটা সাবান শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়?

উত্তর। বাড়িতে প্রতি মাসে দুটি সাবান একটি শ্যাম্পু ও ৫০০ গ্রাম ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়।

08. বাড়ির আসে পাসেপুকুর জলাশয়ে কাপড় কাচা গোরু মোষ স্নান করানো হয়?

উত্তর। বাড়ির পাশের পুকুরে কাপড় কাচা হয়, গোরু-মোষ স্নান করানো হয় না,

09. আশেপাশে চাষের জমি থাকলে খোঁজ নিয়ে দেখো সারা বছরে কোনোপ্রকার রাসায়নিক সার কতটা ব্যবহার করা হয়?

উত্তর। আমরা মফস্সলে বাস করি, তাই আমাদের আশেপাশে চাষের জমি নেই। 

10. বাড়ি না স্কুলের আশেপাশে কোন কারখানা থাকলে, জেনে দেখো কারখানার বর্জ্য জল কী শোধন করার ব্যবস্থা আছে

উত্তর। হ্যাঁ, বাড়ির পাশের কারখানায় বর্জ্য জল শোধন করার ব্যবস্থা আছে।

 জলই জীবন

প্রশ্ন ১। বুবুদের এলাকায় দুদিন ধরে জল আসছে না। জল, স্নানের জল, খাবার জল প্রায়, অথচ পাশের পুকুরটা,ডোবার জলে ভরতি, কিন্তু জলটা পচা, ব্যবহার করা যাচ্ছে না।

এ বছর বন্যায় হাসনাদের গ্রামটা জলে থইথই করছে, সেদিকে তাকানো যায় শুধু জল আর জল, অথচ হাসানদের খাবার মতো একটুও ভাল নেই। এরকম পরিস্থিতিতে তুমি কী করবে। ভেবে দেখো।

উত্তর। এরকম অবস্থা হলে আমাকে চেষ্টা করতে হবে যে, নিকটবর্তী কোনো স্থানে বিশুদ্ধ জল পাওয়া যায় দিশা তাঁর খোঁজ করা, আর না পাওয়া গেলে, যা পাওয়া যাচ্ছে তাকে ওষুধ দিয়ে ফুটিয়ে ব্যবহারযোগ্য করে তোলা।

খুদে গোয়েন্দারা কাজে লেগে পড়ো!!

প্রশ্ন ২। প্রথমে তথ্য সংগ্রহ করতে হবে, তারপর বিশ্লেষণ, তারপর সমস্যা ধরা পড়বে। সমস্যা থাকলেও সমাধানও আছে, তোমরা যারা গ্রামাঞ্চলে বা মফস্সলে থাকে আশেপাশের পুকুর বা জলাশয় থেকে বন্ধুরা করতে পারে। জল কীভাবে ব্যবহার হচ্ছে জলের অবস্থা কীরকম, জল দূষিত হচ্ছে কিনা, জল নষ্ট হচ্ছে কিনা সব খুঁজে দেখতে হবে? যা কিছু দেখলে সে বিষয়ে একটা রিপোর্ট তৈরি করে স্কুলে জমা দাও।

উত্তর। রিপোর্ট : জলের উৎস, ব্যবহার, দূষণ এবং প্রতিকার।

আমি হুগলি জেলার একটি মফস্সলে বাস করি, আমাদের বাড়ির পাশ দিয়ে বয়ে গেছে গঙ্গা নদী। তাছাড়া বেশ কয়েকটি পুকুরও আছে। এখানে পানীয় জলের উৎস পঞ্চায়েত থেকে সরবরাহ করা পাইপ পাইনের জল, অনেক টিউবয়েওল আছে তার পুকুরের জল রান্নার বা পানীয়ের উপযোগী নয়।

এইসব পুকুরে এলাকার লোকেরা দৈনন্দিন কাজ সম্পন্ন করে। যেমন অনেকে কাপড় কাচে, বাসন মাজে, স্নান ঘরে তার গোরুমোষ নামায় না। পুকুরে অনেক সময় আগাছা ঝলাল গজিয়ে ওঠে পুকুর পাড়ে অনেকে নোংরা জন্য করে তা পুকুরে গিয়ে জমা হচ্ছে তাতে যে পুকুরের ঝল দূষিত হচ্ছে তাতে কারোর কেন সচেতনতা বলেই ঠিকমতো বক্র হয় না, ক্রমাগত পানীয় জলের অপচয় হচ্ছে কিন্তু না পৌরসভা না এলাকার স্থানীয় ব্যাক্তরা কেউই তেমন ব্যবস্থা নিচ্ছে না।

তবে কোনো কোনো এলাকায় এ সম্পর্কে সচেতনতা থাকলেও তা খুবই কম। তাই এ ব্যাপারে স্থানীয় প্রতিটি আবালবৃদ্ধ বনিতার বিশদভাবে সচেতনতা ও শিক্ষা প্রয়োজন।

কতজন কী কারণে পুকুরের জল ব্যবহার করে লিখে ফেলো।

উত্তর। ধোপা কাপড়কাচে পুকুরের জলে, গৃহস্প মেয়েরা বাসন মাজে। অনেক লোক ছিপ ফেলে পুকুরে মাছ ধরে,পুকুর থেকে জল তুলে বাগানে দেওয়া হয় গ্রামের লোকেরা। ছাগল, ভেড়া, গোরু, মোষের গা ধুয়ে পরিষ্কার করে ডিজেল চালিত পাম্পের সাহায্যে সেচের কাজে লাগানো হয়। অনেকে স্নান করে এসব নানা ধরনের কাজ পুকুরের জল ব্যবহার হয়।

সমীক্ষা করে দেখো :

প্রশ্ন ১। তোমাদের গ্রামে বা পাড়ায় কতগুলি পুকুর আছে?

উত্তর। আমাদের পাড়ায় দুটি পুকুর আছে।

প্রশ্ন ২। এর মধ্যে কতগুলি পুকুর রোজ ব্যবহার হয়?

উত্তর। এর মধ্যে দুটি পুকুরই রোজ ব্যবহার হয়।

প্রশ্ন ৩। পুকুরের পাড়টা কেমন (বাধানো/ ভাঙা / আগাছায় ভরতি) একটি বাঁধানো অপরটি ভাঙা।

৪। পুকুরের পাড়ে কী কী গাছপাতা আছে? কী কী গাছ আছে? নারকেল গাছ, জামগাছ, কাঁঠাল গাছ।

৫। পুকুরের জলে বা পাড়ে কি পোকামাকড় ছোটো প্রাণী দেখা যায়?

উত্তর। হ্যাঁ, বর্ষাকালে প্রচুর সাপ দেখা যায়।

৬। জলের অবস্থা কেমন?

উত্তর। জল ঘোলা, কালচে সবুজ, একধারে প্রচুর ময়লা।

৭। পুকুরের জল দূষিত হয়ে থাকলে, তা কী কারণে হতে পারে?

উত্তর। গৃহস্থালির প্রচুর নোংরা আবর্জনা ফেলছে, নিকাশি নালির জল পড়ছে।

সমীক্ষা করে দেখো :

 নলকূপ, কুয়ো বা অন্যান্য পানীয় জলের উৎসের ১০মিটারের মধ্যে কোনো শৌচালয় আছে কিনা অথবা জৈব বর্জ্য পদার্থ, মলমূত্র আবর্জনা, মৃতদেব ফেলা হয় কিনা।

 তোমার বাড়ির কাছাকাছি কোনো নলকূপের চারপাশে কি জল জমে আছে?

 কুয়াতে যে দড়ি, বালতি ব্যবহার করা হয়, সেগুলো ঠিকমতো পরিষ্কার কিনা।

 নলকূপ বা কুয়োর জল কি ঘোলাটে, গন্ধযুক্ত?

এবার এই সমীক্ষায় যে তথ্য সংগৃহীত হল, সেগুলি গুছিয়ে নিয়ে ছোটো একটা প্রবন্ধ লিখে ক্লাসের সবাইকে পড়ে শোনাতে পারো

প্রবন্ধ—আমাদের বাড়ির অদূরে একটি নল কূপ আছে, সেখান থেকে এলাকার অনেকেই জল সংগ্রহ করে কিন্তু তার আশেপাশে নোংরা ফেলা হয় না কিন্তু তার পাশ দিয়ে বয়ে গেছে নর্দমা বয়ে গেছে এবং তাতে প্রচুর পরিমাণে বর্জ্য পদার্থ রয়েছে যেমন প্লাস্টিক তাতে জল আটকে যায় এবং তার চারিদিকে নোংরা ডাল ডামে। তাই নলকূপের জল খাওয়ার অযোগ্য তবে এলাকার অনেক সচেতন মানুষই সেই জল খায়। আমাদের বাড়িতে একটি কুয়ো আছে তার চারপাশ বেশ পরিষ্কার, বালতি, দড়ি সবই নিয়মিত পরিষ্কার করা হয় তবে কুয়োটি ঢাকা নয় বলে কুয়োর জল সব কাজে ব্যবহার হলেও পান করার অযোগ্য। তার জন্য ঘোলাটে নয়, বেশ পরিষ্কার।

পোস্টার :

১। জলের আরেক নাম জীবন

 ২। জলকে আর্সেনিক মুক্ত রাখুন

৩। জলকে দূষণমুক্ত করে জীবনকে নিরোগ করুন।

হাতেকলমে

প্রশ্ন। রাষ্ট্রসংঘের মতে প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন অন্তত ২০ লিটার বিশুদ্ধ জল প্রয়োজন হয়। কিন্তু আফ্রিকার মাদাগাস্কারের মানুষ প্রতিদিন ৫লিটার জলও পায় না। অন্যদিকে আর্সেনিকা মুক্ত রাষ্ট্রের মানুষ প্রতিদিন প্রায় ৫০লিটারের বেশি জল ব্যবহার করে। যদি তোমরা পরিবারের সবার প্রতিদিন অন্তত ২০লিটার বিশুদ্ধ জল পাওয়ার ব্যবস্থা হয় তাহলে কীভাবে কতটা জল ব্যবহার করবে?

উত্তর। স্নান ও জামাকাপড় ধোয়ার জন্য ১৩লিটার জল ব্যবহারের চেষ্টা করব বাকি ৫লিটার খাওয়ার ও হাত মুখ ধোওয়া বাকি ২লিটার বাচানোর চেষ্টা করব।

 কতটা কীভাবে জল বাঁচাৰে বা সঞ্চয় করবে?

প্রয়োজন ছাড়া অকারণে জল নষ্ট করব না। এভাবে দিনে অন্তত ২ লিটার জল সঞ্চয় করতে পারব।

 কীভাবে কতটা ব্যবহার করা জল পুনর্ব্যবহার করবে?

জামাকাপড় ধোয়া জল গাছের গোড়ায় দেব ও বাথরুম পরিষ্কারের কাজে লাগাব।

 জল দূষণ আটকাতে তুমি (বাড়িতে, পাড়ায়, স্কুলে) আর কী কী করতে পারো ভেবে নিয়ে লেখো।

পাড়ার পুকুরগুলিতে বা নলকূপের চারপাশে ময়লা জমলে জল দূষণ হতে পারে তাতে আমাদের শরীরের কী ক্ষতি হতে পারে সে সম্পর্কে প্রতিবেশীদের সচেতন করতে পারি, বাড়িতে ক্ষরযুক্ত সাবান ব্যবহার না করার প্রতি যত্নশীল হতে পরি, স্কুল, বাড়ি সব জায়গায় জল পরিষ্কার রাখার ব্যাপারে আমাদের যথেষ্ট পরিমাণে সচেতন থাকতে হবে।

 জলের পুনর্ব্যবহার আরও কীভাবে করা যেতে পারে জানার চেষ্টা করো।

উত্তর। এ ব্যাপারে স্কুলের শিক্ষক মহাশয়, পৌরসভার প্রধান, অন্যান্য কর্মী, পাড়ার লোকজনের সাথে আলোচনা করে তদপরি ব্যবস্থা নিতে পারি।

 সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

১। পৃথিবীতে জলের হিসেব কী?

উত্তর। পৃথিবীর মোট ১০০ ভাগ জলের ৯৭ ভাগই সমুদ্রের নোনা জল। বাকি ৩ ভাগ স্বাদু জলের ২ ভাগই হিমবাহের বকফ হিসাবে রয়েছে বাকি ১ ভাগ স্বাদুজল হল নদী জলাশয়, হ্রদ এবং ভূ-গর্ভের জল।

২। জলে কী কী বর্জ্য পদার্থ মিশছে?

উত্তর। জলের মধ্যে প্রচুর পরিমাণে দূষিত বিষাক্ত রাসায়নিক পদার্থ, বিভিন্ন রকম জীবাণু সংক্রামিত নোংরা, জঞ্জাল,মলমূত্র বিভিন্ন বর্জ্য পদার্থের কারণে জল দূষিত হচ্ছে।

৩। দুষিত রাসায়নিক পদার্থের নাম করো।

উত্তর। জলে মিশ্রিত দূষিত রাসায়নিক পদার্থ হল—— অ্যামোনিয়া, ক্লোরিন, ফেনল, সায়ানাইড এবং বিভিন্ন ধাতু জিঙ্ক,পারদ, সিসা ক্রোমিয়ামঘটিত দূষক নালা।

৪। তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে কীভাবে দূষণ ছড়াচ্ছে?

উত্তর। পারমাণবিক চুল্লি, চিকিৎসাকেন্দ্র বা বৈজ্ঞানিক পরীক্ষাগারে ব্যবহৃত তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলো ব্যবহারের পর সমুদ্রে বা নদীতে ফেলা হয়। পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর তেজস্ক্রিয় পদার্থ জলে মিশে দূষণ ঘটায়।

৫। ইউট্রিফিকেশন কী?

উত্তর। সাবান, ডিটারজেন্টের ফসফেট (সার) বন্দ পুকুর জলাশয়ের জলে মিশলে প্রচুর পরিমাণে শৈবাল আগাছা কচুরিপানা বেড়ে যায়। এর ফলে জ্বলে প্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে গিয়ে মাছ ও জলের প্রাণী মারা যায়। একে ইউট্রিফিকেশন বলে।

৬। আর্সেনিকের ফলে কী কী রোগ হয়?

উত্তর। জলে আর্সেনিকের মাত্রা বেশি থাকলে হাতের চেটো ও পায়ের তলায় কালো ক্ষত হয়, তাকে ব্ল্যাক ফুট ব্যাধি বলে। এ ছাড়াও চর্মরোগ, রক্তাল্পতা, যকৃৎ, ফুসফুস, ত্বকের ক্যানসারও হতে পারে।

৭। ঘোলা জল কীভাবে পরিষ্কার করবে?

উত্তর। ঘোলা জলের ক্ষেত্রে সবথেকে সহজ উপায় হল জলটা ঢাকা নিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে দেওয়া তাহলে জলের বেশিরভাগ কাদা বালির কণা থিতিয়ে পড়বে, তখন উপরের পরিষ্কার জল ব্যবহার করা যাবে।

৮। বর্তমানে গঙ্গানদীর জলের অবস্থা কেমন?

উত্তর। গত কয়েক দশক ধরে ডাঙ্গা নদীর দুই তীরে অসংখ্য কলকারখানা, শহর, নগর, জনবসতি গড়ে ওঠার ফলে প্রচুর বিষাক্ত আবর্জনা এই নদীর জলে মিশে জলকে দূষিত করছে।

৯। ভারতের কোন্ কোন্ রাজ্যে জলংসট রয়েছে? কেন?

উত্তর। আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দঃ আমেরিকার কিছু অঞ্চলে চরম জলসংকট দেখা গেছে।এর অন্যতম কারণ জলের অতিরিক্ত ব্যবহার ও জলদূষণ।

 রচনাধর্মী প্রশ্ন :

১। জলকে কী কী ভাবে বিশুদ্ধ করা যায়?

উত্তর। বর্তমানে ভারতের অধিকাংশ মানুষের কাছে বিশুদ্ধ পানীয় জল পৌঁছালেও প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলিতে এখনও পানীয় জলের একমাত্র উৎস নদী যা পুকুরের জল।

১০০º সে. উয়তায় ১০ মিনিট ফোটালেই জলের বেশিরভাগ জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়।

২। ঘোলা জলের ক্ষেত্রে সবথেকে সহজ উপায় হল জলটা ঢাকা দিয়ে কয়েক ঘণ্টা রেখে দেওয়া, তাহলে জলের বেশিরভাগই কাদা বালির কণা থিতিয়ে পড়বে, তখন ওপরের পরিষ্কার জলটা ব্যবহার করা যাবে।

৩। নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্লোরিন জাল দিলেও জীবাণু নষ্ট হয়।

৪। কড়াইশুটি, অড়হর ডাল, মসুর ডাল, এরকম কতগুলো গাছ জলের নোংরাগুলোকে পাত্রের তলায় থিতিয়ে পড়তে সাহায্য করে।

৫। কাঠকয়লা, সূক্ষ্ম বালি, নুড়ি পাথর এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে জল বিশুদ্ধ করা যায়।

৬। আর একটা খুব ও কার্যকরী উপায় হল সূর্যের আলোর মাধ্যমে জল শুদ্ধ করা। পাতলা গ্লাস্টিকের স্বচ্ছ বোতলে জল ভরে রোদে হয় সাত ঘণ্টা রেখে দিলে প্রায় ফোটানো জলের মতোই বিশুদ্ধ জল পাওয়া যায়।

 শূন্যস্থান পূরণ করো :

১। দূষিত জল ব্যবহার করলে ___ রোগ হয়?

২। অ্যাকোরিয়ামের জলে ____ দিলে মাছ মারা যাবে?

৩। পৃথিবীর অন্যতম সমস্যা স্বাদু জলের ___। 

৪। স্বাদুজল সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ ___। 

৫। তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের জল নদীতে মিশলে ___। 

৬। মিনেমাটা উপসাগর __ অবস্থিত।

৭। পেট্রো-রসায়ন শিল্প গড়ে উঠেছে _____। 

৮। অন্ধপ্রদেশের ____ কীটনাশক থেকে প্রচুর মাছ মারা গেছে?

৯। পারদ দূষণে ____ রোগ হয়।

উত্তর। কলেরা।

উত্তর। ফিনাইল।

উত্তর। অভাব।

উত্তর। প্রাকৃতিক সম্পদ।

উত্তর। অক্সিজেন।

উত্তর। জাপানে।

উত্তর। হলদিয়ায়।

উত্তর। কোলেরুতে।

উত্তর। মিনেমাটা।

• ভুল সংশোধন করো;

১। বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল এবং রাসায়নিকের মাধ্যমে সমুদ্রে জ্বলের নোনা ভাব দূর হয়।

উত্তর। বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল এবং রাসায়নিকের মাধ্যমে সমুদ্র ভাসমান তেলের দূষণ দূর করা যায়।

২। চাষের ফলক বাড়ানোর জন্য অতিরিক্ত সার কীটনাশক দিতে হবে?

উত্তর। চাষের খেতে অতিরিক্ত সার কীটনাশক দেওয়া বনধ করতে হবে।

৩। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ প্রতিদিন ৫ লিটার জল পায় না।

উত্তর। আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের মানুষ প্রতিদিন ৫০ লিটারেরও বেশি জল ব্যবহার করে।

৪। জলে ক্লোরিন মিশলে জল দূষিত হয়। 

উত্তর। জলে নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্লোরিন দিলে জীবাণু নষ্ট হয়।

৫। ক্যাডমিয়াম দূষণে মিনেমাটা রোগ হয়। 

উত্তর। ক্যাডমিয়াম দূষণে ‘ইতাই-ইতাই’ রোগ হয়।

৬। জাপানে মারাত্মক পারদ দূষণে মানুষ ও জীবজন্তু তেমন ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।

উত্তর। জাপানে মারাত্মক পারদ দূষণে প্রায় ৩০ বছর ধারে অসংখ্য মানুষ এবং জীবজন্তু মারা যায়।

৭। গঙ্গা নদী থেকে তুলনামূলকভাবে কৃষ্ণা, কাবেরি, গোদাবরীর দূষণ কম।

উত্তর। গঙ্গা নদীর মতোই কৃষ্ণা, কাবেরি, গোদাবরীও দূষিত।

• সত্য-মিথ্যা নির্ণয় করো :

১। খনিজ তেল সমুদ্রের জলে মিশলে সামুদ্রিক প্রাণী মারা যাবে। [ ]      উত্তর। [✔️]

২। আমাদের গঙ্গা নদী জল বিশুদ্ধ। [ ]    উত্তর। [X]

৩। পৃথিবীর তিন ভাগ জল, এক ভাগ স্থল। [ ]   উত্তর। [X]

৪। নির্দিষ্ট পরিমাণ লবণ দিলে জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। [ ]   উত্তর। [X]

৫। বর্জ্য পদার্থ পরিষ্কার জলে মিশে জল দূষিত করছে। [ ]    উত্তর। [✔️]

৬। অন্ধপ্রদেশ কোলেরুতে ইলিশ মাছের আনাগোনা কমে গেছে। [ ]     উত্তর। [X]


জলে নির্দিষ্ট পরিমাণে—

(A) পারদ


(B) ক্যাডমিয়াম


(C) ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়


Ans. C


কলেরা হল—

(A) বায়ুবাহিত রোগ


(B) মৃত্তিকাবাহিত রোগ


(C) জলবাহিত রোগ


(D) কোনোটিই নয়


Ans. C


জলের তাপীয় দূষণে পরিবর্তন ঘটে—

(A) জলের রাসায়নিক ধর্মের


(B) জলে অক্সিজেনের পরিমাণের


(C) প্রাণীর সংখ্যার


(D) উদ্ভিদের সংখ্যার


Ans. B


মানবদেহে অস্থিক্ষয় হয় যে রোগের প্রকোপে, তা হল—

(A) ব্ল্যাকফুট


(B) মিনামাটা


(C) ইতাই-ইতাই


(D) ফ্লরোসিস


Ans. C


আউচ-আউচ রোগ হয়—

(A) পারদ


(B) ক্যাডমিয়াম


(C) আর্সেনিক


(D) সিসা দূষণের প্রভাবে


Ans. B


দাঁত খরখরে ও অমসৃণ হয় যে রোগের মাধ্যমে, তা হল—

(A) ক্লোরোসিস


(B) ফ্লরোসিস


(C) আর্সেনিকোসিস


(D) ইতাই-ইতাই


Ans. B


যে ধাতুকপা বেশিমাত্রায় জলদূষণ ঘটায়, সেটি হল—

(A) সিসা ও পারদ


(B) অ্যালুমিনিয়াম ও সোডিয়াম


(C) লোহা ও তামা


(D) জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ


Ans. A


খনিজ তেল জলদূষণ ঘটায় প্রধানত—

(A) জলের ওপর আস্তরণ তৈরি করে


(B) জলে অক্সিজেন সরবরাহ করে


(C) জলের রাসায়নিক ধর্ম পরিবর্তন করে


(D) জলের তাপীয় পরিবর্তন ঘটিয়ে


Ans. A


ভারতের আর্সেনিকের সমস্যা বেশি—

(A) পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে


(B) উত্তরপ্রদেশ ও কেরলে


(C) মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়তে


(D) গোয়া ও কর্ণাটকে


Ans. A


আউচ-আউচ রোগ হয়—

(A) পারদ


(B) ক্যাডমিয়াম


(C) আর্সেনিক


(D) সিসা দূষণের প্রভাবে


Ans. B


পশ্চিমবঙ্গে সর্বাধিক আর্সেনিকের প্রভাব দেখা যায়—

(A) বীরভূমে


(B) নদিয়ায়


(C) জলপাইগুড়িতে


(D) পূর্ব মেদিনীপুরে


Ans. B


জলদূষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ঘটে—

(A) আকরিক শিল্পে


(B) কাগজ ও চর্ম শিল্পে


(C) ইলেকট্রনিকস শিল্পে


(D) ইলেকট্রিক শিল্পে


Ans. B


একটি বিষাক্ত ভারী ধাতু হল—

(A) তামা


(B) পারদ


(C) লোহা


(D) জিংক


Ans. B


যে ধাতুকপা বেশিমাত্রায় জলদূষণ ঘটায়, সেটি হল—

(A) সিসা ও পারদ


(B) অ্যালুমিনিয়াম ও সোডিয়াম


(C) লোহা ও তামা


(D) জিংক ও ম্যাঙ্গানিজ


Ans. A


ইউট্রোফিকেশনের ফলে জলাশয়ে—

(A) আগাছা কমে


(B) পুষ্টিমৌলের জোগান বাড়ে


(C) অক্সিজেনের জোগান বাড়ে


(D) অক্সিজেনের চাহিদা কমে


Ans. B


পৃথিবীর জল দ্বারা আবৃত অংশের পরিমাণ—

(A) 13%


(B) 43%


(C) 71%


(D) 90%


Ans. C


কলেরা হল—

(A) বায়ুবাহিত রোগ


(B) মৃত্তিকাবাহিত রোগ


(C) জলবাহিত রোগ


(D) কোনোটিই নয়


Ans. C


নদী ও হ্রদের স্বাদু জলের উৎস—

(A) 1%


(B) 2%


(C) 5%


(D) 29%


Ans. A


একটি বিষাক্ত ভারী ধাতু হল—

(A) তামা


(B) পারদ


(C) লোহা


(D) জিংক


Ans. B


পৃথিবীর জল দ্বারা আবৃত অংশের পরিমাণ—

(A) 13%


(B) 43%


(C) 71%


(D) 90%


Ans. C


নর্দমার জল নিষ্কাশনে সবচেয়ে বেশি বাধা সৃষ্টি করে—

(A) কাগজ


(B) কাদা


(C) প্লাস্টিক


(D) নুড়ি


Ans. C


ফ্লুরাইড হল একধরনের—

(A) উপকারী গ্যাস


(B) নিষ্ক্রিয় গ্যাস


(C) ক্ষতিকর লবণ


(D) উপকারী শৈবাল


Ans. C


ইউট্রোফিকেশনের ফলে জলাশয়ে—

(A) আগাছা কমে


(B) পুষ্টিমৌলের জোগান বাড়ে


(C) অক্সিজেনের জোগান বাড়ে


(D) অক্সিজেনের চাহিদা কমে


Ans. B


জলে নির্দিষ্ট পরিমাণে—

(A) পারদ


(B) ক্যাডমিয়াম


(C) ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়


Ans. C


পৃথিবীর মোট জলের—

(A) 97


(B) 5


(C) 85


(D) 3 ভাগ স্বাদুজল


Ans. D


আউচ-আউচ রোগ হয়—

(A) পারদ


(B) ক্যাডমিয়াম


(C) আর্সেনিক


(D) সিসা দূষণের প্রভাবে


Ans. B


জলদূষণ সবচেয়ে বেশি পরিমাণ ঘটে—

(A) আকরিক শিল্পে


(B) কাগজ ও চর্ম শিল্পে


(C) ইলেকট্রনিকস শিল্পে


(D) ইলেকট্রিক শিল্পে


Ans. B


ভূগর্ভের অতিরিক্ত জল তুলে নেওয়ার ফলে পানীয় জলে যে পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হচ্ছে, তা হল—

(A) পারদ


(B) ক্লোরাইড


(C) আর্সেনিক


(D) ক্যাডমিয়াম


Ans. C


মানবদেহে অস্থিক্ষয় হয় যে রোগের প্রকোপে, তা হল—

(A) ব্ল্যাকফুট


(B) মিনামাটা


(C) ইতাই-ইতাই


(D) ফ্লরোসিস


Ans. C


ব্ল্যাকফুট রোগ—

(A) আর্সেনিক


(B) ফ্লুরোসিস


(C) ক্যাডমিয়াম


(D) ইউট্রোফিকেশনের কারণে ঘটে


Ans. A


ভারতের আর্সেনিকের সমস্যা বেশি—

(A) পশ্চিমবঙ্গ ও বিহারে


(B) উত্তরপ্রদেশ ও কেরলে


(C) মহারাষ্ট্র ও তামিলনাড়তে


(D) গোয়া ও কর্ণাটকে


Ans. A


সবচেয়ে বেশি পরিমাণে জলের তাপীয় দূষণ ঘটায়—

(A) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র


(B) চর্যশিল্পে


(C) কাগজ শিল্পে


(D) প্লাস্টিক শিল্পে


Ans. A


ফ্লুরাইড হল একধরনের—

(A) উপকারী গ্যাস


(B) নিষ্ক্রিয় গ্যাস


(C) ক্ষতিকর লবণ


(D) উপকারী শৈবাল


Ans. C


আউচ-আউচ রোগ হয়—

(A) পারদ


(B) ক্যাডমিয়াম


(C) আর্সেনিক


(D) সিসা দূষণের প্রভাবে


Ans. B


নর্দমার জল নিষ্কাশনে সবচেয়ে বেশি বাধা সৃষ্টি করে—

(A) কাগজ


(B) কাদা


(C) প্লাস্টিক


(D) নুড়ি


Ans. C


কলেরা হল—

(A) বায়ুবাহিত রোগ


(B) মৃত্তিকাবাহিত রোগ


(C) জলবাহিত রোগ


(D) কোনোটিই নয়


Ans. C


নদী, দিঘি বা পুকুরে অজস্র প্রতিমা বিসর্জনের কারণে—

(A) জলে দ্রবীভূত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যেতে পারে


(B) মাছ মারা যেতে পারে


(C) অক্সিজেনের পরিমাণ হ্রাস ঘটে ও মাছ মারা যেতে পারে


(D) কোনোটিই নয়


Ans. C


ভূগর্ভের অতিরিক্ত জল তুলে নেওয়ার ফলে পানীয় জলে যে পদার্থের পরিমাণ বৃদ্ধি পায় বলে মনে করা হচ্ছে, তা হল— 

(A) পারদ


(B) ক্লোরাইড


(C) আর্সেনিক


(D) ক্যাডমিয়াম


Ans. C


জলে নির্দিষ্ট পরিমাণে—

(A) পারদ


(B) ক্যাডমিয়াম


(C) ক্লোরিন মিশিয়ে দিলে দূষিত জলের জীবাণু নষ্ট হয়


Ans. C


পৃথিবীর মোট জলের—

(A) 97


(B) 5


(C) 85


(D) 3 ভাগ স্বাদুজল


Ans. D



1. জলদূষণ কাকে বলে ?


উঃ। নানা অবাঞ্ছিত রাসায়নিক বা জৈব পদার্থ ও জীবাণু জলে মিশলে তা মানুষ ও প্রাণীর ব্যবহারের অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে এবং এর ফলস্বরূপ জলজ উদ্ভিদ ও প্রাণীসহ জীবজগতের ক্ষতির সম্ভাবনা দেখা যায়। একে জলদূষণ বলে।





2. পৃথিবীর কোন্ বিখ্যাত নদীগুলি অতিমাত্রায় দূষিত হয়ে পড়েছে?



 উঃ। হোয়াংহো, টেমস, মিসিসিপি প্রভৃতি পৃথিবীর বিখ্যাত নদীগুলি অতিমাত্রায় দূষিত হয়ে পড়েছে।




3. জাপানে মিনামাটা উপসাগরে কী দূষণ ঘটেছিল? 


উঃ। জাপানে মিনামাটা উপসাগরে পারদ দূষণ ঘটেছিল। 




4. ভারতবর্ষে গঙ্গা ছাড়া আর কোন্ কোন্ নদীর জল দূষিত হয়ে পড়েছে?


উঃ। ভারতবর্ষে কৃষ্ণা, কাবেরী, গোদাবরী ও যমুনা নদীর জল দূষিত হয়ে পড়েছে। 




5. সারে থাকা নাইট্রেট-এর কারণে কী কী ঘটতে পারে?


উঃ। সারে থাকা নাইট্রেট-এর কারণে ক্যানসার হতে পারে। এমনকি শিশুদের মাথায় রক্ত চলাচলে অসুবিধা ঘটায়। 




6. পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে কীসের চাষ করা হয়? 


উঃ। পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে মাছের চাষ করা হয়।




7. ক্যাডমিয়াম দূষণে কী অসুখ হয়? 


উঃ। ক্যাডমিয়াম দূষণের ফলে ইতাই-ইতাই রোগ হয়।




৪. বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে প্রতিবছর সারা বিশ্বের কত শিশু কীভাবে মারা যায় ? 



উঃ। প্রতি বছর সারা বিশ্বের প্রায় ৩০ লক্ষ শিশু ডাইরিয়া ও অন্যান্য জলবাহিত সংক্রামক অসুখে মারা যায়।




9. পৃথিবীর কতভাগ জল ও কতভাগ স্থল ? 


উঃ। পৃথিবীর তিনভাগ জল ও একভাগ স্থল। 




10. পৃথিবীতে কতভাগ স্বাদু জল রয়েছে? 


উঃ। পৃথিবীতে 1 ভাগ জল স্বাদু জল রয়েছে যা হল নদীর জল ও ভূগর্ভের জল।




11. সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ কী? 


উঃ। স্বাদু জল সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রাকৃতিক সম্পদ।




12. পৃথিবীর অন্যতম সমস্যা কী? 


উঃ। পৃথিবীর অন্যতম সমস্যা পানীয় জল বা বিশুদ্ধ স্বাদু জলের অভাব।




13. পৃথিবীর কোথায় কোথায় চরম জলসংকট দেখা গেছে? 


উঃ। আফ্রিকা, পশ্চিম এশিয়া, অস্ট্রেলিয়া, দঃ আমেরিকার কিছু অঞ্চলে চরম জলসংকট দেখা গেছে। যায়।




14. জলে কোন্ রাসায়নিক পদার্থ দিলে জল বিশুদ্ধ করা যায়? 


উঃ। জলে ক্লোরিন মেশালে জল বিশুদ্ধ করা যায়।




15. অ্যাকোরিয়ামের জলে ফিনাইল বা কেরোসিন তেল ফেলে দিলে কী হবে?


উঃ। অ্যাকোরিয়ামের জলে ফিনাইল বা কেরোসিন তেল ফেলে দিলে দূষণের কালে মাছগুলো সব মরে যাবে। 





16. জলের বেশিরভাগ জীবাণু কোন্ পদ্ধতিতে নষ্ট হয়ে যায়?



উঃ। 100° সে. উয়তায় 10 মিনিট ফোটালেই জলের বেশিরভাগ জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়।




16.পানীয় জল কোথা থেকে পাও ?


উঃ। নদী, পুকুর, নলকূপ ও টাইম কল থেকে।




17. পানীয় জলে কখনও ঘোলাটে ভাব, নোংরা, দুর্গন্ধ দেখেছ? 


উঃ। কোনো কোনো সময় টাইম কলের জলে ঘোলাটে ভাব দেখেছি।




18.পানীয় জল কি কোনো উপায়ে বিশুদ্ধ করে তবে ব্যবহার করো? 


উঃ। হ্যাঁ, জল ফুটিয়ে নিয়ে ব্যবহার করি।




19. গত তিনমাসে তোমার বাড়িতে পাড়ায় বা তোমার ক্লাসে কি কেউ পেটের অসুখ ডাইরিয়ায় ভুগেছে? 


উঃ। বাড়িতে আমার ভাই এবং ক্লাসে দু-চারজন বন্ধু ডাইরিয়ায় ভুগেছে।




20.বাড়ির আবর্জনা, জঞ্জাল, কোথায় ফেলা হয় ?


উঃ। পাড়ায় জঞ্জাল ফেলার নির্দিষ্ট জায়গায় বা জমাদারের গাড়িতে।




21.বাড়ির শৌচাগারের জল কোথায় মেশে?


উঃ। রাস্তার নর্দমায় মেশে।




22. বাড়িতে প্রতিমাসে কতটা সাবান, শ্যাম্পু বা ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়?


উঃ। বাড়িতে প্রতিমাসে চারটি সাবান, এক শিশি শ্যাম্পু ও দুই কিলো ডিটারজেন্ট ব্যবহার করা হয়।




23. বাড়ির আশপাশের পুকুরে, জলাশয়ে কাপড়কাচা, গোরু-মোষ স্নান করানো হয়?


উঃ। না, হয় না।




24. আশেপাশে চাষের জমি থাকলে খোঁজ নিয়ে দেখো সারা বছরে কোন প্রকার রাসায়নিক সার কতটা ব্যবহার করা হয়?


উঃ। চাষের জমি যদিও অনেকটা দূরে আছে, তবুও কিছু কিছু রাসায়নিক সার সেখানে ব্যবহার করা হয়।




25. বাড়ি বা স্কুলের আশেপাশে কোনো কারখানা থাকলে, জেনে দেখো কারখানার বর্জ্য জল কি শোধন করার ব্যবস্থা আছে? 


উঃ। হ্যাঁ, কারখানা আছে। সব কারখানায় বর্জ্য জল শোধনের ব্যবস্থা নেই। দু-একটিতে আছে



26. কীভাবে জল দূষিত হয় ?


উঃ। জলে বিভিন্ন অবাঞ্ছিত রাসায়নিক বা জৈব পদার্থ, জীবাণু মিশে গিয়ে জল মানুষ ও অন্যান্য প্রাণীর ব্যবহারের অযোগ্য হয়ে গেলে এবং জলজ প্রাণী ও উদ্ভিদের বসবাস করার অযোগ্য হয়ে গেলে জল দূষিত হয়।




27. পৃথিবীর মোট জলের 100 ভাগের মধ্যে কোন্ কোন্ জল কত ভাগ রয়েছে? 


উঃ। পৃথিবীর মোট জলের 100 ভাগের মধ্যে 97 ভাগ হল সমুদ্রের নোনা জল। বাকি 3 ভাগ স্বাদু জল। এই তিন ভাগ স্বাদু জলের 2 ভাগ হিমবাহের বরফ এবং বাকি 1 ভাগ স্বাদুজল হল নদী, জলাশয়, হ্রদ এবং ভূ-গর্ভের জল।




28. গঙ্গা নদী দূষণের কারণগুলি কী কী ?


উঃ। আমাদের দেশ ভারতবর্ষে গঙ্গা নদীকে আমরা মাতৃজ্ঞানে পূজা করি। কিন্তু গত কয়েক দশকে গঙ্গা নদীর দুই তীরে বহু কলকারখানা, শহর, নগর, জনবসতি গড়ে ওঠার ফলে প্রচুর বিষাক্ত আবর্জনা এই নদীর জলে মিশে জলকে দূষিত করেছে। তাই এখন এই নদীর জল খেলে অসুস্থতা এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।




29. ভারতবর্ষের কোন কোন রাজ্য জলসংকটপূর্ণ? 


উঃ। ভারতবর্ষের জলসংকটপূর্ণ রাজ্যগুলি হল – উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, ছত্তিশগড়, অন্ধ্রপ্রদেশ, তামিলনাড়ু, রাজস্থান, গুজরাট ও মহারাষ্ট্র।




30. ইতাই ইতাই রোগ কী?


উঃ। জলে ক্যাডমিয়ামের পরিমাণ বৃদ্ধি পেলে এবং তা মানুষের দেহে প্রবেশ করলে ক্যাডমিয়ামের সংক্রমণ হয়। এর ফলে মানুষের হাড় ভঙ্গুর হয়ে যায় ও হাড়মজ্জায় সমস্যা ঘটে। এই রোগটিকে ইতাই-ইতাই বলে।




31. ব্ল্যাকফুট ব্যাধি কী ?


উঃ। আর্সেনিকের প্রভাবে দূষিত হওয়া জল আমাদের শরীরে প্রবেশ করার ফলে হাতের চেটো ও পায়ের তলায় কালো কালো ক্ষতের সৃষ্টি হয়, একে ব্ল্যাকফুট ব্যাধি বলে।




32. আর্সেনিক দূষণ কীভাবে হয় ?


উঃ। মাটির নীচের স্তর থেকে অনিয়ন্ত্রিতভাবে অতিরিক্ত জল, ক্লোরিন তুলে নেওয়ার ফলে মাটির নীচের ফাঁকা জায়গায় আর্সেনিকের যৌগ বাতাসের সঙ্গে বিক্রিয়া করে বিষাক্ত ধাতব যৌগ তৈরি করে। এই বিষাক্ত যৌগ জলে মিশে নলকূপের জলের মাধ্যমে পানীয় জলে মিশে যায় ও আর্সেনিক দূষণ ঘটায়। আর্সেনিক দূষণের ফলে হাতে পায়ে পচা কালো ঘা বা ক্ষত হয় একে ব্ল্যাকফুট ব্যাধি বলে। 


এছাড়াও আর্সেনিক দূষণ থেকে চর্মরোগ, রক্তাল্পতা, যকৃত, ফুসফুস ও ত্বকের ক্যানসার হতে পারে।




33. কোন্ কোন্ জরুরি বিষয় মেনে চললে জলবাহিত সংক্রমণ প্রায় আটকানো যায় ?


উঃ। তিনটি জরুরি বিষয় মেনে চললেই জলবাহিত সংক্রমণ আটকানো যায়। (i) বিশুদ্ধ জল পান করা। (ii) সাবান দিয়ে হাত ধোয়া। পরিষ্কার পাত্রে জল রাখা প্রভৃতি সাধারণ কিছু পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা মেনে চলা। (iii) শৌচাগারের ব্যবহার করা এবং নোংরা আবর্জনা সঠিক জায়গায় ফেলা।



1. জলদূষণের সম্ভাব্য কারণগুলি কী কী ?


উঃ। জলদূষণের কারণগুলি হল—


(i) শিল্প-কারখানা থেকে দূষণ : বিভিন্ন শিল্প-কারখানা থেকে নির্গত পলিথিন-প্লাস্টিক, অপরিশোধিত খনিজ তেল, বিভিন্ন রকম রাসায়নিক পদার্থ, নানা ধরনের ধাতু যথা অ্যামোনিয়া, ক্লোরিন, ফেনল, সায়ানিক, তামা, জিঙ্ক, পারদ, সিসা ক্রোমিয়াম প্রভৃতি নালা-নর্দমা দিয়ে নদী বা সমুদ্রের জলে মিশে জলকে দূষিত করে। 


(ii) গৃহস্থালি থেকে দূষণ : দৈনন্দিন রান্নায় ব্যবহৃত তরিতরকারির খোসা, শৌচাগারের মল-মূত্র, সাবান, ডিটারজেন্ট, ফিনাইল ইত্যাদি নালা-নর্দমা দিয়ে পার্শ্ববর্তী জলাশয়ে পড়ে জলকে দূষিত করে। এছাড়া বিভিন্ন খাটালে পশুশালা, বড়ো বাজার, হাসপাতাল প্রভৃতি থেকে উৎপন্ন বর্জ্য জলদূষণ ঘটায়। 


(iii) কৃষিক্ষেত্র থেকে জলদূষণ : চাষের জমিতে দেওয়া রাসায়নিক সার, কীটনাশক, আগাছানাশক বৃষ্টির জলে ধুয়ে জলাশয়ে পড়ে জলকে দূষিত করে।


(iv) তাপীয় দূষণ : তাপবিদ্যুৎ বা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে নির্গত উয় দূষিত বর্জ্য জল জলাশয় বা নদীতে মিশে জলে অক্সিজেনের পরিমাণ কমিয়ে জল দূষণ ঘটায়।


(v) তেজস্ক্রিয় পদার্থ থেকে দূষণ : পারমাণবিক চুল্লি বা পরীক্ষাগার থেকে অথবা পারমাণবিক বিস্ফোরণের পর তা থেকে নির্গত তেজস্ক্রিয় পদার্থ জলে মিশে জলকে দূষিত করে।


(vi) খনিজ তেল থেকে দূষণ : তেলবাহী জাহাজ থেকে দুর্ঘটনার ফলে অথবা সমুদ্রে অবস্থিত তেলের খনি থেকে তেল তোলার সময় তেল জলে পড়ে জলদূষণ হয়।


(vii) বায়ুদূষণের ফলে : কলকারখানা ও যানবাহনের ধোঁয়ার মাধ্যমে বাতাসে সালফার ডাইঅক্সাইড, নাইট্রোজেন ডাইঅক্সাইড, কার্বন মনোক্সাইড ইত্যাদি জমা হয়। বায়ুমণ্ডল থেকে বৃষ্টির জলের সাথে সালফার ডাই-অক্সাইড নাইট্রোজেন ডাই-অক্সাইড বিক্রিয়া করে এবং বিভিন্ন জলাশয়ের জলকে আম্লিক করে দেয়।


(viii) আর্সেনিক দূষণ : মাটির নীচের আর্সেনিক নলকূপের জলের সঙ্গে মিশে গিয়ে বিষাক্ত হয়ে জলদূষণ ঘটায়। একইভাবে জলে ফ্লুওরিন ক্লোরিন অতিরিক্ত পরিমাণে থাকলেও জল দূষিত হয়। 




2. জলদূষণ প্রতিরোধ করার জন্য কী কী ব্যবস্থা নেওয়া যেতে পারে?


 উঃ। জলদূষণ আটকানোর পাশাপাশি জ্বলের অতিরিক্ত ব্যবহার কমানো এবং বেশি পরিমাণে পুনর্ব্যবহার করলে তবেই তীব্র জলসংকট মেটানো যেতে পারে। (i) নদী, জলাশয় ও সমুদ্রের জলে সরাসরি নোংরা-আবর্জনা ফেলা যাবে না। (ii) কলকারখানার নোংরা জল পরিশুদ্ধ করে নদীনালায় ফেলা উচিত। (iii) প্লাস্টিক, মৃতদেহ, কঠিন বর্জ্য জলাশয়ে ফেলা উচিত নয়। (iv) চাষের জমিতে অতিরিক্ত সার, কীটনাশক দেওয়া বন্ধ করতে হবে। পরিবর্তে জৈব সার প্রয়োগ করতে হবে। (v) শহর ও কলকারখানার দূষিত জল শোধন করে ব্যবহার করা উচিত। (vi) জলের অপব্যবহার ও অপচয় বন্ধ করা উচিত। (vii) জলাশয়ে গোরু-মহিষ স্নান করানো, কাপড়-জামা কাচা বন্ধ করতে হবে। (viii) তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্রের বর্জ্য গরম জল ঠান্ডা করে তবেই নদী বা সমুদ্রে ফেলতে হবে। (ix) বিভিন্ন রকম ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল ও রাসায়নিকের মাধ্যমে সমুদ্রে ভাসমান তেলের দূষণ দূর করতে হবে। (x) জাহাজ থেকে যাতে তেল নির্গত হয়ে সমুদ্রে না পড়ে সেদিকে দৃষ্টি রাখা উচিত। (xi) মল-মূত্র, হাসপাতালের দূষিত জীবাণুযুক্ত আবর্জনা জলে ফেলা উচিত নয়। 




3. জলদূষণ রোধ করার উপায়গুলি আলোচনা করো।


উঃ জলদূষণ প্রতিরোধ করার উপায়গুলি হল : (i) জলের কল বন্ধ করে বিশুদ্ধ জলের অপচয় রুখতে হবে। (ii) পরিবেশের ক্ষতি করে না এমন ক্ষারহীন সাবান, শ্যাম্পু ব্যবহার করতে হবে। কোনো পুকুর বা জলাশয়ে ডিটারজেন্ট দিয়ে কাপড় কাচা বন্ধ করতে হবে। (iii) পুকুর নদী, নালা বা অন্যান্য জলাশয়ে নোংরা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করতে হবে। বাড়ির আবর্জনা এমন স্থানে ফেলতে হবে যার আশপাশে যেন বিশুদ্ধ জলের উৎস না থাকে। (iv) পুকুর পাড়ে, কুয়োর চারপাশে, নলকূপের নিকাশি নালার ধারে শাকসবজি, ফল-ফুলের গাছ লাগাতে হবে। এতে যেমন দূষিত জল অনেকটা পরিশুদ্ধ হবে পাশাপাশি মাটির ক্ষয় কমে যাবে। (v) কৃষিজমিতে অতিরিক্ত কীটনাশক প্রয়োগ করা বন্ধ করতে হবে পাশাপাশি সেই কীটনাশক মিশ্রিত জল যাতে কোনো জলাশয়ে না মেশে সে দিকে নজর দেওয়া প্রয়োজন। (vi) শিল্পকেন্দ্র বা বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের দূষিত বা উত্তপ্ত জল সরাসরি যাতে সমুদ্র বা নদীতে না মেশে তা দেখতে হবে। (vii) পানীয় জলে জিওলিন জাতীয় তরল ব্যবহার করলে বা ফটকিরি মেশালে বিশুদ্ধ ও জীবাণুমুক্ত জল পাওয়া সম্ভব।




4. কোন্ কোন্ সহজ উপায়ে জল বিশুদ্ধ করা যায়? 


উঃ (i) 100° সে. উয়তায় 10 মিনিট ধরে জলকে ফোটালে জলের বেশিরভাগ জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। (ii) নির্দিষ্ট পরিমাণ ক্লোরিন জলে দিলে জীবাণুমুক্ত জল পাওয়া যায়। (iii) ঘোলা জলকে পরিশুদ্ধ করতে জলটা ঢাকা দিয়ে রেখে দিতে হবে। কয়েক ঘণ্টা পর দেখা যাবে বেশিরভাগ কাদা ও বালুকণা থিতিয়ে পড়েছে। (iv) কাঠকয়লা, সূক্ষ্ম বালি, নুড়ি-পাথর-এর মাধ্যমে বিভিন্ন উপায়ে জল বিশুদ্ধ করা যায়। (v) কড়াইশুঁটি, অড়হর ডাল, মুসুর ডাল ইত্যাদি গাছ জলের নোংরাগুলোকে নীচে থিতিয়ে পড়তে সাহায্য করে। (vi) একটি খুব সহজ ও কার্যকরী উপায় হল সূর্যের আলোর মাধ্যমে জল বিশুদ্ধ করা। পাতলা প্লাস্টিকের স্বচ্ছ বোতলে জল ভরে রোদে ছয়-সাত ঘণ্টা রেখে দিলে প্রায় ফোটানো জলের মতো বিশুদ্ধ জল পাওয়া যায়।




5. পশ্চিমবঙ্গে জলদূষণের প্রভাবগুলি আলোচনা করো।


উঃ। (i) পশ্চিমবঙ্গ জলদূষণ কয়েকটি প্রভাব লক্ষ করা যায় এগুলি হল-পশ্চিমবঙ্গের কমবেশি অনেক জেলা যেমন মালদা, নদিয়া, হুগলি, হাওড়া, বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় মাটির নীচের জলে আর্সেনিক পাওয়া গেছে। ফলে আর্সেনিক দূষণ ঘটছে। যার ফলে হাত ও পায়ের চেটোয় কালো কালো ক্ষতের সৃষ্টি হচ্ছে। একে ‘ব্ল্যাকফুট ব্যাধি’ বলে। এ ছাড়াও রক্তাল্পতা, চর্মরোগ, ফুসফুস ও ত্বকের ক্যানসার হচ্ছে। (ii) ফ্লুরাইড দূষণের ফলে দাঁত ও হাড়ের গঠন নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। ফ্লুরোসিস রোগ হচ্ছে। এ ছাড়া পারদ দূষণে মিনামাটা ও ক্যাডমিয়াম দূষণে ইতাই-ইতাই হয়ে থাকে। (iii) হলদিয়া পেট্রো-রসায়ন শিল্প গড়ে ওঠায় হলদি নদীর মোহানায় জলদূষণের জন্য ইলিশ মাছের আনাগোনা কমে গেছে। পূর্ব কলকাতার জলাভূমিতে মাছের ভেড়িগুলোতে মাছ চাষ কমে গেছে কারণ কীটনাশক প্রয়োগের ফলে বহু মাছ মারা যাচ্ছে। (iv) জলদূষণের ফলে জলের ভাণ্ডার কমে যাচ্ছে। দূষিত জলপান করার ফলে পেটের অসুখ, ডাইরিয়া, কলেরা, আমাশয়, টাইফয়েড ইত্যাদি রোগের প্রকোপ বাড়ছে।





ভারতের গঙ্গানদী দূষণ কোন্ দূষণের আওতায় পড়ে? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. জলদূষণ।


তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র থেকে নির্গত গরম জলের দ্বারা জলদূষণ কী নামে পরিচিত? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. তাপীয় দূষণ


_________-এর প্রভাবে সৃষ্ট কালো ক্ষতকে ব্ল্যাকফুট ডিজিজ বলে। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. আর্সেনিক


আর্সেনিক দূষণে চর্মরোগ, রক্তাল্পতা, যকৃৎ, ফুসফুসের রোগ হয়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য


গাঙ্গেয় পশ্চিমবঙ্গে আর্সেনিকের অধিক মাত্রা লক্ষ করা যায়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য


পারদ দূষণের প্রভাবে ইতাই-ইতাই রোগ হয়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. মিথ্যা


ফ্লুওরাইড দূষণে মিনামাটা অসুখ হয়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. মিথ্যা


ফ্লুওরাইড দূষণের ফলে সৃষ্ট রোগটি হল _________ (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. ফ্লরোসিস


বিভিন্ন ধাত একত্রে জলদূষণ ঘটালে, তাকে কী বলে? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. বিষাক্ত ধাতুজনিত দূষণ।


কলকারখানার ধোঁয়ার ফলে কী ধরনের বৃষ্টি হয়? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. অ্যাসিড বৃষ্টি।


জলসংকটের গুরত্বপূর্ণ কারণ কী? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. অতিরিক্ত ভৌমজল উত্তোলন।


রাষ্ট্রসংঘের মতে প্রতিটি মানুষের প্রতিদিন অন্তত 20 লিটার_________ এর প্রয়োজন হয়। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. বিশুদ্ধ পানীয় জল


মিনামাটা রোগটি_________ দেশে ছড়ায়। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. জাপান রসায়ন


ভারতে কোন্ কাজের জন্য স্বাদু জল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. কৃষিকাজে।


ইউট্রোফিকেশনের ফলে জলজ প্রাণীরা মারা যায়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য


জলদূষণের ফলে সমুদ্রে মাছের পরিমাণ _________ পায়। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. হ্রাস


ক্যাডমিয়াম হল জলদূষক। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য


জলদূষণকারী পদার্থগুলিকে একত্রে কী বলে? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. জলদূষক।


ফসল উৎপাদনে ব্যবহৃত সারে থাকা _________এর কারণে ক্যানসার এবং শিশুদের মাথায় রক্ত চলাচলে অসুবিধা হয়। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. নাইট্রেট


জলদূষণকারী তেজস্ক্রিয় পদার্থগুলির প্রভাব ক্ষণস্থায়ী। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. মিথ্যা


ইউট্রোফিকেশনের ফলে জলজ প্রাণীরা মারা যায়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য


ফ্লুওরাইড দূষণের ফলে সৃষ্ট রোগটি হল _________ (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. ফ্লরোসিস


একটি জলবাহিত রোগের নাম লেখো। (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. আমাশয়।


পৃথিবীতে মিষ্টি জলের শতকরা পরিমাণ কত? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. 3%।


10°সে উষ্ণতায় 10 মিনিট দূষিত জলকে ফোটালেই জীবাণু নষ্ট হয়ে যায়। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. মিথ্যা


সাবানের প্রভাবে জলাশয়ের আগাছা শৈবালের প্রচুর বেড়ে যাওয়া কী। (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. ইউট্রোফিকেশন।


আর্সেনিক, ফ্লওরিন ও _________ অতিরিক্ত পরিমাণে থাকলেও জল দূষিত হয়। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. ক্লোরিন


ভারতে কোন্ কাজের জন্য স্বাদু জল সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়? (এক কথায় উত্তর দাও)

Ans. কৃষিকাজে।


হলদিয়া _________ শিল্প গড়ে ওঠার পর থেকে হলদি নদীর মোহনায় ইলিশ মাছের আনাগোনা কমে গেছে। (শূন্যস্থান পূরন করো)

Ans. পেট্রো।


বৃষ্টির জল সংরক্ষণের মাধ্যমে জলসংকট কিছুটা মেটানো সম্ভব। (সত্য/মিথ্যা নির্বাচন করো)

Ans. সত্য।



মন্তব্যসমূহ