প্রথম অধ্যায়
পৃথিবীর পরিক্রমণ
সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় | সপ্তম শ্রেণীর ভূগোল পৃথিবীর পরিক্রমণ | class 7 geography first chapter question answer - নিয়ে আমরা আলোচনা করব । পাঠ্য বই লাইন ধরে ধরে ক্রম অনুযায়ী এই প্রশ্ন উত্তর পর্ব তৈরি করা হয়েছে ।
আমরা পৃথিবী থেকে ছিটকে যাই না কেন ?
পৃথিবীর ওপরে থাকা যে-কোনো বস্তুকেই নিজের কেন্দ্রের দিকে টানে। এইজন্যই তো আমরাও পৃথিবী থেকে ছিটকে যাই না। আসলে সব বস্তুই পরস্পরকে আকর্ষণ করে, বা নিজের দিকে টানে। এটা হল মহাকর্ষ। এই টানাটানির খেলায় যার 'ভর' বেশি আর যে যত কাছে থাকে তার আকর্ষণ তত বেশি হয়।
পৃথিবীর তুলনায় সূর্য ১৩ লক্ষ গুণ বড়ো, কোটি কোটি বছর ধরে সূর্যের আকর্ষণে পৃথিবী সূর্যের চাপিদিকে ঘুরছে। চাঁদ ঘুরছে পৃথিবীর চারিদিকে। সূর্য ও তার গ্রহ, উপগ্রহ সমেত আমাদের ছায়াপথ ‘আকাশগঙ্গার' কেন্দ্রের চারিদিকে ঘুরছে। যে কথিত রেখার চারিদিকে পৃথিবী আবর্তন করে সেটাই পৃথিবীর অক্ষ, পৃথিবীর দুই প্রান্তে রয়েছে উত্তরমেরুও দক্ষিণ মেরু আমাদের দেশ রয়েছে নিরক্ষবৃত্ত এবং উত্তর মেরুর মাঝের অঞ্চলে অর্থাৎ উত্তর গোলার্ধে। পৃথিবী নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করতে করতে নির্দিষ্ট উপবৃত্তাকার কক্ষপথে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে ঘড়ির কাটার বিপরীত দিকে নির্দিষ্ট সময়ে প্রায় ৩৬৫ দিন সূর্যের চারিদিকে ঘোরে বা পরিক্রমণ করে এটাই পৃথিবীর পরিক্রমণ গতি। বাষিকগতি বা পরিক্রমণ গতির বেগ সেকেন্ডে প্রায় ৩০ কিমি। কোনো বস্তুকে প্রতি সেকেন্ডে ১১-২ কিমি গতিবেগে ওপরের দিকে ছুঁড়তে পারলে একে বলে মুক্তিবেগ (Escape Velocity), সেটা আর নীচের দিকে না পড়ে, মহাশূন্যে পৃথিবীর চারিদিকে ঘুরতে থাকবে। রকেটের মাধ্যমে কৃত্রিম উপগ্রহ উৎক্ষেপণ করা হয় এই মুক্তিবেগে পৃথিবী প্রায় ১৫ কোটি কিমি দুর থেকে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে। পৃথিবী যে পথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে সেটাই পৃথিবীর কক্ষপথ। এই কক্ষপথ মহাশূন্যে যে কাল্পনিক সমতলে অবস্থিত, সেটাই কতল। বিজ্ঞানী কোপারনিকাসের সময় থেকেই জানা যায় বিভিন্ন গ্রহগুলি সূর্যের চারিদিকে ধোরে। কিন্তু গ্রহগুলি ঠিক কীভাবে ঘোরে এই সম্পর্কে বিজ্ঞানী কেপলার প্রথম গ্রহদের গতি সংক্রান্ত তিনটি সূত্র প্রণয়ন করেন। প্রথম সূত্রে বলা হয়েছে। প্রতিটি গ্রহ উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সূর্যকে প্রদক্ষিণ করে এবং সূর্য ওই উপবৃত্তের একটি। উপবৃত্তাকার কক্ষপথে একটা ফোকাসে সূর্য অবস্থান করে। একারণে পৃথিবী সূর্য প্রদক্ষিণের সময় সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবসময় সমান থাকে না। একসময়ে পৃথিবী সূর্যের বেশি কাছে আসে আবার একসময় দূরে চলে যায়।

অপসূর অবস্থান ও অনুসূর অবস্থান কাকে বলে ?
৪ জুলাই সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে বেশি হয় (প্রায় ১৫ কোটি ২০ লক্ষ কিমি) একে পৃথিবীর অপসূর অবস্থান বলে। আবার ৩ জানুয়ারি সূর্য থেকে পৃথিবীর দূরত্ব সবচেয়ে কম প্রায় ১৪ কোটি ৭৮ লক্ষ কিমি একে পৃথিবীর অনুসূর অবস্থান বলে।
সময় মাপার তিনটি প্রাকৃতিক উপায় হল- (১) ২৪ ঘণ্টায় একবার করে দিন ও রাতের পরাক্রম। (২) পৃথিবীর উপগ্রহ চাঁদ পৃথিবীকে প্রায় ২৮ দিনে প্রদক্ষিণ করে। এই সময়টাকে চান্দ্রমাস বলে। (৩) পৃথিবীর সর্য পরিক্রমণ, পৃথিবী সূর্যকে প্রায় ৩৬৫ দিনে একবার প্রদক্ষিণ করে। এই সময়টাকে সৌর বছর ধরা হয়।
অধিবর্ষ কাকে বলে ?
পরিক্রমণ গতির সময়কে ধরে বলা হয়। একটি ছায়াকাঠি বানিয়ে দেখা গেল দুপুরে কাঠির ছায়াটা সবচেয়ে ছোটো, সকালে ও বিকালে সব থেকে বড়ো হয়। সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবী একবার নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করে। ১ দিনে বা ২৪ ঘণ্টায় ৬০x২৪ = ১৪৪০ টি মিনিট আছে।
পৃথিবীর একবার সূর্য পরিক্রমণের সময় (এক সৌর বছর ৩৬৫ দিন ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড) একই হওয়া উচিত। হিসেবের সুবিধার জন্য ৩৬৫ দিনে একবছর ধরা হয়। ফলে প্রতিবছর এই ৫ ঘণ্টা ৪৮ মিনিট ৪৬ সেকেন্ড সময় বাড়তি থেকে যায়। এই হিসাব ঠিক রাখার জন্য প্রতি চার বছর অন্তর একটা পুরো দিন ধরা হয়। ওই একদিন ফেব্রুয়ারি মাসের সঙ্গে যোগ হয়ে মাসটা ২৯ দিনের অর বছরটা ৩৬৬ দিনের হয়। ৩৬৬ দিনের বছরকে বলে অধিবর্ষ। যে সমস্ত বছকে (যেমন ২০১২ সাল) '৪' দিয়ে ভাগ করলে ভাগশেষ থাকবে না, সেই বছরগুলো অধিবর্ষ হবে।
অধিবর্ষ কখন হয় না ?
শতাব্দী বছরগুলোকে ‘৪০০' দিয়ে ভাগ করলে, ভাগশেষ না থাকলে, তবে সেই বছর অধিবর্ষ হবে। তেমনি ১৭০০, ১৮০০,১৯০০,২১০০ অধিবর্ষ নয় ।
সূর্য পৃথিবীতে জীবনের উৎস ?
সূর্য পৃথিবীতে জীবনের উৎস। সূর্যের আলো, উত্তাপ ছাড়া বীজ অঙ্কুরিত হয় না, গাছপালা পদ্মবিত হয় না। সমস্ত জীবজগৎ সূর্যের ওপর নির্ভরশীল। সূর্য প্রতিমুহূর্তে হাইড্রোজেন গ্যাস হিলিয়াম গ্যাসে রূপান্তরিত হয়ে বিপুল শক্তি তৈরি হচ্ছে। এই শক্তির ২০০ কোটি ভাগের ১ ভাগ আলো উত্তাপরূপে প্রতি মূহুতে পৃথিবীতে এসে পৌঁছাচ্ছে। পৃথিবীর অঙ্কটা কিন্তু পৃথিবীর কক্ষপথের সাপেক্ষে পুরোপুরি লম্ব নয়, কিছুটা হেলানো পদতলের সঙ্গে ২ কোণে অবস্থিত।
সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়লে তা কম জায়গাকে অনেক বেশি উত্তপ্ত করে। সূর্যরশ্মি তির্যকভাবে পড়লে বেশি আয়গায় ছড়িয়ে পড়ে রুম উত্তাপ পড়ে। উত্তর গোলার্ধ যখন সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে, তখন উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড়ো রাত ছোটো হতে থাকে অর্থাৎ এই সময় উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল আর দক্ষিণ গোলার্ধে শীতকাল আবার যখন দক্ষিণ গোলার্ধ সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে উত্তর গোলার্ধে দিন ছোটো রাত বড়ো হতে থাকে। তখন উত্তর গোলার্ধে শীতকাল দক্ষিণ গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল।
শীতকালে সূর্যটা পুব আকাশে একটু দক্ষিণ দিক ঘেঁষে আবার গ্রীষ্মকালে উত্তর দিক থেষে ওঠে। পৃথিবী পশ্চিম দিক থেকে পূর্বে আবর্তন করে চলে আপাতদৃষ্টিতে সূর্যকে প্রতিদিন পুব আকাশ থেকে পশ্চিম আকাশে চলাচল করছে বলে মনে হয়। এটা সূর্যের দৈনিক আপাত গতি হেলানো অস্ত্রের জন্য আপাতভাবে মনে হয় যে সূর্য পৃথিবীর বিষুবরেখা উত্তরে কর্কটক্রান্তিরেখা পর্যন্ত চলাচল করে এটাই সূর্যের বার্ষিক আপাত গতি বা রবিমার্গ ২২ ডিসেম্বর থেকে ২১ জুন পর্যন্ত ৩ মাস সূর্যের উত্তরমুখী আপাতগতি উত্তরায়ণ। ২১ জুন থেকে ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত সূর্যের দক্ষিণমুখী আপাতগতি দক্ষিণায়ন।
বিষুব কাকে বলে ?
২১ মার্চ তারিখে পৃথিবী তার কক্ষপথে ঘুরতে ঘুরতে এখন জায়গার চলে আসে বিষুবরেখার লম্বভাবে সূর্যরশ্মি পড়ে। অর্থাৎ ১২ ঘণ্টা নিন ১২ ঘণ্টা রাত হয়। এই ঘটনাকে বিষুব বলা হয়। উত্তর গোলার্ধে এই সময় বসন্তকাল। তাই দিনাকে বসন্তকালীন বিষুব বলা হয়। ২১ মার্চের বিষুবের পর থেকে উত্তর গোলার্ধে ক্রমশ দিন বড়ো (১২ ঘণ্টার বেশি) রাত ছোটো হতে থাকে সূর্যের উত্তরায়ণের এই সময়টা উত্তর গোলার্ধে গ্রীষ্মকাল। ২১শে জুন কটক্রান্তি রেখার (২১ ১/২ উঃ অক্ষরেখা) ওপর লম্বভাবে সূর্যরশ্মি পড়ে। এই দিন উত্তর গোলার্ধে দিন সবথেকে বড়ো দক্ষিণ গোলার্ধে সবথেকে ছোটো হয়।
২১ জুনকে কর্কট সংক্রান্তি বলে।
২১ জুনের পর দক্ষিণায়ন শুরু হয়। ২০ সেপ্টেম্বর তারিখে বিষুবরেখায় সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে। এই দিনটা বিষুব বা শরৎকালীন বিষুব বলে।
২২ ডিসেম্বর দক্ষিণ গোলার্ধে মকরক্রান্তিরেখার (২৩) দক্ষিণ অক্ষরেখা) উপর সূর্যরশ্মি লম্বভাবে পড়ে। ২২ ডিসেম্বরকে মকর সংক্রান্তি বলা হয়।
মার্চ থেকে জুলাই উত্তর গোলার্ধে সুমেরু বৃত্তীয় অঞ্চলে সূর্য কখনোই দিগন্তের নীচে থেকে ওঠে না অস্ত যায় না।২৪ ঘণ্টাই দিনের আলো থাকে। আবার সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি এর সময়টাও একইভাবে দক্ষিণ গোলার্ধে কুমেরু বৃত্তীয় অঞ্চলে এইরকম আলোকিত রাত্রি সহ একটানা দিন থাকে। নরওয়ের উত্তরে হ্যামারফেস্ট বন্দরে মে মাস থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত সূর্যকে রাতের বেলায় স্পষ্ট দেখা যায় একে মধ্যরাত্রির সূর্যের দেশ বলা হয়। সেপ্টেম্বর থেকে জানুয়ারি সুমেরুবৃত্তিয় অঞ্চলে সূর্য একেবারে ওঠে না ২৪ ঘণ্টাই অন্ধকার থাকে। মার্চ থেকে জুন এই সময় কুমেরুবৃত্তিয় অঞ্চলে অন্ধকার দিন সহ একটানা রাত হয়।
দুই মেরুপ্রদেশে একটানা রাত চলার সময় মাঝে মাঝে আকাশে রামধনুর মতো রঙিন আলোর জ্যোতি বা অরোরা দেখা যায়। বায়ুমণ্ডলে বিভিন্ন আয়নিত গ্যাসের সঙ্গে সূর্যরশ্মির সংঘর্ষের ফলে মেরু অঞ্চলে আকাশে একরকম বিচ্ছুরিত আলোর সৃষ্টি হয়।
বৃহস্পতির পক্ষ তার কক্ষের উপর লম্ব।
ইউরেনাসের অক্ষ তার কক্ষের সাথে সমতল।
মজার খেলা শব্দ সন্ধান :
নিজে করো
উপরনীচ :
১. আপাত বার্ষিক গতি
২. পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব সব থেকে কম হয় যে অবস্থানে
৫. পৃথিবী থেকে সূর্যের দূরত্ব সব থেকে বেশি হয় যে অবস্থানে
৭. এই শক্তির জন্য পৃথিবী সমস্ত কিছুকে নিজের দিকে আকর্ষণ করে
পাশাপাশি :
২. মেরুপ্রভাব অপর নাম
৩. সমান দিন ও রাত্রি
৬. বার্ষিক গতির অপর নাম
৪. উত্তর মেরুকে যা বলে
৮. যে বছরে ৩৬৬ দিন থাকে
প্রথম অধ্যায়
পৃথিবীর পরিক্রমণ
পাঠ্যপুস্তকের প্রশ্নোত্তর
১। পৃথিবীর এই আকর্ষণ শক্তি হল ____।
উত্তর। পৃথিবীর এই আকর্ষণ শক্তি হল মহাকর্ষ।
২। পৃথিবী তাহলে কোন্দিকে, কোথায় গিয়ে আছড়ে পড়বে?
উত্তর। পৃথিবী সূর্যের আকর্ষণে যেভাবে চারদিকে ঘুরছে সেভাবেই ঘুরে চলবে, কোনো দিকেই বা কোথায় আছড়ে পড়বে না।
৩। কিন্তু নীচের দিক কোন্টা!
উত্তর। যে আকর্ষণ করছে তার কেন্দ্রের দিকটাই হল নীচের দিক।
৪। তাহলে মহাশূন্যে কী হয়? মহাকাশেও কি আকর্ষণ কাজ করে?
উত্তর। মহাশূন্যে আকর্ষণ আছে। মহাকাশেও আকর্ষণ কাজ করে।
৫। পৃথিবী তাহলে কার দিকে আকর্ষিত হচ্ছে, কোন দিকে গিয়ে পড়বে? চাঁদের ওপর?
উত্তর। সূর্যের দিকে আকর্ষিত হচ্ছে, পৃথিবী কোনো দিকেই পড়বে না। না, চাঁদের ওপরও পড়বে না।
৬। তাহলে তারার ওপর? তারারা তো অনেক দূরে আছে। তাহলে সূর্যের উপর? হ্যাঁ, সূর্য সবথেকে তাদের তারা, আর পৃথিবীর তুলনায় ১৩ হক্ষ গুণ বড়ো। তাহলে পৃথিবী সূর্যের দিকে আকর্ষিত হচ্ছে!
উত্তর। না, পৃথিবী তার বা সূর্য কোনোটির উপরই আছড়ে পড়বে না। পৃথিবী সূর্য দ্বারা আকর্ষিত হচ্ছে নির্দিষ্ট গতি ও নির্দিষ্ট পথে সূর্যের চারদিকে ঘুরে চলেছে।
(৭) খুঁটির মাথায় উড়ন্ত ঢাকার সঙ্গে বাঁধা দড়ি ধরে দৌড়ানোর একরকম খেলা আছে। খেলেছো কখনো? অথবা মেলায় গিয়ে নাগরদোলা চড়েছো?
উঃ না খেলিনি। হ্যাঁ চড়েছি।
(৮) কিন্তু এই উপবৃত্ত কীরকম হয়?
উ: উপবৃত্ত সামান্য চ্যাপ্টা বৃত্ত বা ডিম্বাকর হয় কখনোই পুরোপুরি গোলাকার হয় না।
(৯) বৃত্তের সঙ্গে তারা কতখানি পার্থক্য?
উঃ বৃত্তের সঙ্গে তার পার্থক্য খুব সামান্য।
(১০) ঘড়ি না থাকলে, সময়কে মাপার কোনো উপায় না থাকলে কি ঠিক সময় স্কুলে পৌঁছতে পারবে?
উ: ঘড়ি না তাকলে, সময়কে মাপার কোনো উপায় না থাকলে ঠিক সময়ে স্কুলে পৌঁছতে পারব না।
(১১) লক্ষ্য করে দেখো কখন লাঠির ছায়াটা সব থেকে ছোটো হয়? (সকাল/ দুপুর/বিকাল)
উঃ দুপুরে
(১২) কখন সব থেকে লম্বা হয়? (সকাল / দুপুরে / বিকেলে)
উ: বিকেলে।
(১৩) সূর্যকে একবার প্রদক্ষিণ করতে পৃথিবী কড়বার নিজ অক্ষের উপর আবর্তন করে?
উঃ ৩৬৫ বার।
(১৪) ১ দিনে বা ২৪ ঘণ্টায় কত মিনিট আছে?
১দিন ২৪ ঘণ্টা। ২৪ x ৬০ = ১৪৪০ মিনিট ।
(১৫) ২৯ ফেব্রুয়ারি তারিখটা কি প্রতি বছর ক্যালেন্ডারে পড়ি?
উঃ না। সাধারণত লিপইয়ার বা প্রতি বছরে অন্তর ক্যালেন্ডারে দেখি।
(১৬) তাহলে ২৯ ফেব্রুয়ারি কারো জন্মদিন হলে কী হবে?
উঃ প্রতি বছরই জন্মদিন তারিখটি পিরে আসবে না। প্রতি চার বছরে অন্তরে ফিরে আসবে।
এ তো খুব সহজ! ঠিক ঠিক লিখে ফেলো।
সাল অধিবর্ষ হবে?
২০০৪ হবে
২০০০ হবে
২০১২ হবে
১৯০০ হবে না
২০১৩ হবে না
২১০০ হবে না
(১৮) কিন্তু সারা বছর ধরে কখনও 'গরম' কখনও 'ঠাণ্ডা' এরকম হয় কেন?
উঃ পৃথিবী সূর্যকে কেন্দ্র করে নিজের অক্ষের উপর ঘুরছে পৃথিবীর অঙ্কটি সামান্য হেলানো বটে। এক একটি স্থান সূর্যের দিকে বেশি ঝুঁকে থাকে। ফলে সেদিকে ঝুঁকে থাকে সেদিকে মুখরিণ পদ্ধভাবে পড়ে এবং চাপ বেশি হয়। যেখানে সূর্যকিরণ তির্যকভাবে পড়ে সেখানে উত্তাপ কম হয়।
(১৯) গ্রীষ্ম কেন শীতের থেকে গরম?
উ: গ্রীষ্মকালে সূর্যকিরণ পৃথিবীর উপর সম্বভাবে পড়ে। এই সময় দিন বড়ো হয় হলে উচ্চতা বাড়ে। অপরদিকে শীতকালে সূর্যের কিরণ তির্যকভাবে পড়ে ফলে দিন ছোটো হয় এবং উষ্ণতা কম।
(২০) বলো তো, দিনের কোন সময়টা বেশি গরম আগে?
উ: সকালে সূর্য ওঠার সময়।
দুপুরে সূর্য যখন মাথার ওপর থাকে? [✔️]
উঃ সন্ধ্যায়-সূর্যাস্তের সময়।
রাতে সূর্যাস্তের পর
(২১) একটা অন্ধকার ঘরে টেবিলের ওপর বা সমতল মেঝের ওপর টর্চের আলো ফেলে দেখতে হবে। প্রথমে একটা ১-২ ফুট ওপরে লম্বভাবে ধরে লক্ষ্য করো।
টেবিলের ওপর যে আলোর বুওটা তৈরি হয়েছে, সেটা কতটা জায়গা জুড়ে আছে? আর দেখো আলোটা কত উজ্জ্বল
এবার টটাকে একই উচ্চতায় রেখে একটু হেলিয়ে ধরো। দেখতো এবার আলোর জায়গাত’ বাড়ল কিনা? তার আলো আগের থেকে বেশি জোরালো না হালকা বলো?
উ: ১-২ ফুট উপরে লম্বভাবে টর্চটির আলো ফেলে দেখা যাবে অল্প জায়গা জুড়ে পড়ে, আলোটিও জোরালো হয় একই উচ্চতায় ট্যুটিকে একটু হেলিয়ে ধরলে আলোর জায়গটি আগের চেয়ে বেড়ে যায় এবং আলোটা হালকা হয়।
(২২) ভালো করে লক্ষ করবে আর চিহ্ন দিয়ে রাখবে। প্রতি মাসের ১ বা ২ তারিখে সকালে দেখবে সূর্যটা কোথায় উঠেছে। সেদিকে বরাবর দিকটা লম্বা দাগ দিয়ে রাখবে।
উ:
নির্দিষ্ট মাস সূর্য কোন্ দিকে ঘেঁষে ওঠে
মার্চ পূর্ব আকাশের মাঝামাঝি
মে-জুন উত্তর দিকে ঘেঁষে
সেপ্টেম্বর পূর্ব আকাশের মাঝামাঝি
নভেম্বর ডিসেম্বর দক্ষিণ দিকে ঘেঁষে
গরমকালে স্কুল থেকে ফিরে....... ছোটো বড়ো হয় দিনরাত।
উ: সূর্যোদয়
মার্চ সকাল ৬টা (প্রায়)
জুন সকাল ৫টা (প্রায়)
সেপ্টেম্বর সকাল ৬টা (প্রায়)
ডিসেম্বর সাল ৬-৩০ (প্রায়)
সূর্যাস্ত কত ঘণ্টা দিন
সন্ধ্যা ৬টা (প্রায়) ১২ ঘণ্টা প্রায়
সন্ধ্যা ৬-৩০ (প্রায়) ১৩ ঘণ্টা প্রায়
সন্ধ্যা ৬টা (প্রায়) ১২ ঘণ্টা প্রায়
বিকেল ৮:৩০ (প্রায়) ১০ ঘণ্টা প্রায়
(২৪) সূর্যের বার্ষিক অপাত গতি, দিন-রাতের ছোটো-বড়ো হওয়া, ঋতু পরিবর্তন কী কারণে হয়?
উত্তর। (১) পৃথিবীর হেলানো অম্ল (২) উপবৃত্তাকার কক্ষপথ (৩) আবর্তন ও পরিক্রমণ গতির জন্য।
(২৫) কোনটা ঠিক?
উত্তর। (৩) আবর্তন ও পরিক্রমণ গতি।
(২৬) তোমার সূর্য ঘড়িটায় ২১ মার্চ, ২১ জুন আর ২২ ডিসেম্বর দুপুর ১২টার সময় ছায়ারা দৈর্ঘ্য মেপে দেখো। কোন দিন থেকে ছোটো ছায়া পড়ল?
উত্তর। ২১জুন সব থেকে ছোটো ছায়া পড়ল।
(২৭) কোন দিন সব থেকে বড়ো ছায়া পড়ল?
উত্তর। ১২ ডিসেম্বর।
(২৮) 'বড়োদিন' কি আসলে বড়ো দিন? খেয়াল করেছো 'বড়োদিন' ....... বড়ো দিন?
উত্তর। ২১জুন প্রকৃত বড়ো দিন।
* মগজাস্ত্র :
(২৯) পৃথিবীর অক্ষটা যদি কক্ষের ওপর লম্ব হতো ও পৃথিবীর অক্ষ যদি কক্ষপথের সমতলে থাকতে তবে
দিনরাত ও ঋতুপরিবর্তন কেমন হতো?
উত্তর। এই দুই ক্ষেত্রেই পৃথিবীর সর্বত্র দিনরাত সমান হতো ও ঋতুপরিবর্তন হতো না।
(৩০) পৃথিবীর কোথায় সারাবছরই দিনরাত সমান থাকে?
উত্তর। পৃথিবীর নিরক্ষীয় অঞ্চলে সারাবছরই দিনরাত সমান থাকে।
(৩১) ২১শে মার্চ তারিখে স্থানীয় সময় অনুযায়ী ক-টার সময় টোকিও, কলকাতা, সিডনিতে সূর্য উঠবে?
উত্তর। ২১শে মার্চ তারিখে স্থানীয় সময় অনুযায়ী ভোর ৫টার সময় সূর্য উঠবে।
(৩২) ৪ঠা জুলাই, ২৫শে জানুয়ারি ও ২০শে সেপ্টেম্বর বিষুবরেখার যে-কোনো জায়গায় একই সময়ে সূর্য উঠবে।
(৩৩) জুন মাসে বরফ পড়া বা ডিসেম্বর মতো গরমের হলকা কোথায় কোথায় হতে পারে?
উত্তর। দক্ষিণ গোলার্ধে।
(৩৪) ২৩ সেপ্টেম্বর স্থানীয় সময়ে বঁটার সময় নিউইয়র্কে দিল্লি, কায়রোডে সূর্য ডুববে?
উত্তর। প্রায় সন্ধ্যা ৫টায়।
ভেবে দেখেছো, উত্তর আর দক্ষিণ গোলার্ধে ঋতুগুলো উলটো?
উত্তর।
বিশেষ দিন উত্তর গোলার্ধে দক্ষিণ গোলার্ধে
২১ মার্চ বসন্তকাল শরৎকাল
২১ জুন গ্রীষ্মকাল শীতকাল
২৩ ডিসেম্বর শীতকাল গ্রীষ্মকাল
মন্তব্যসমূহ