মুঘল সাম্রাজ্যের সংকট প্রশ্ন উত্তর | সপ্তম শ্রেণি ইতিহাস ।
WBBSE Class 7th History Chapter 8 Mughal Samrajjer Sonkot
পাঠ্যাংশের প্রশ্ন ও উত্তর
ভেবে বলোতো কৃষি সংকট বলতে কী বোঝায়?
উ: জায়গিরদারি এবং মনসবদারি সংকটের সাস্থ্য সে যুগের বৃষ্টি সংকট যুক্ত। ফসলের উৎপাদন এই সময়েবেড়েছিল। ফসল উৎপাদন করলে কী হবে? কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল। মুঘল মনসবদারেরা মারাঠা সর্দারদের সাহায্য নিতে যখন মুঘল মনসবদাররা দাক্ষিণাত্য যুদ্ধের সময় রাজস্ব আদায় করতো এর থেকে বোঝা যায় যে ওই সকল অশালে আলগা হয়ে গিয়েছিল মুঘলদের নিয়ন্ত্রণ, এদিকে আবার খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতাব জিনিস পত্রের দাম আবার বেড়ে যায়। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে অভিজাতরা জমি থেকে তাদের আয় আরও বাড়াতে চাইলেন অভিজাতরা জমিদার এবং কৃষিদের উভয়ের উপরে চাপ বাড়াতে থাকে এই কারণে কৃষকরাও বিদ্রোহ পথে নেমে যায়। এই বিদ্রোহতে অনেক সময় জমিদারেও কৃষকদের সাহায্য করত। এই ভাবেই কৃষি সংকট দেখা দেয়
বলো তো ভালো জমিগুলি কেন সম্রাট ঔরঙ্গজেব খাস জমি করে রেখেছিলেন?
উঃ সম্রাট ঔরঙ্গজেব যখন বিজ্ঞাপুর এবং গোলকোন্ডা জয় করলো তখন এই অঞ্চলের সব থেকে ভালো জমিগুলি তিনি খাস জমি বা খাস্সিা জমি হিসেবে রেখেছিলেন। সেই জমিগুলি জায়গির হিসেবে দেওয়া হতে না। বরং এই খাস জমির রাজস্ব সরাসরি কেন্দ্রিয় কোষাগারে জমা হতো। তাই সম্রাট ঔরঙ্গজেব এই জমিগুলিকে খাস জমি বা খালিসা জমি হিসেবে রেখেছিল।
ভেবে দেখো খুঁজে দেখো
১। নীচের নামগুলির মধ্যে কোনটি বাকিগুলির সঙ্গে মিলছে না তার তলায় দাগ দাও।
(ক) গুণে, কোঙ্কণ, আগ্রা, বিজাপুর।
উঃ আগ্রা।
(খ) বান্দা বাহাদুর, আফজল খান, শায়েস্তা খান, মুয়াজ্জম।
উঃ বান্দা বাহাদুর।
(গ) অষ্টপ্রধান, বর্গি, মাবলে, খালা।
উ: খালসা।
(ঘ) রামদাস, ভেগবাহাদুর, জয়সিংহ, হরগোবিন্দ।
উ: জয়সিংহ।
(ঙ) কেশ, কৃপাণ, কলম, কথা।
উ: কলম।
২। 'ক' স্তম্ভের সঙ্গে 'ঋ' স্তম্ভ মিলিয়ে লেখো :
'ক' স্তম্ভ
রায়গড়
হিন্দু পাদপাদশহি
গোলকোণ্ডা
সৎনামি
পাঠান উপজাতি
'খ' স্তম্ভ
নারনৌল
শিবাজি
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত
প্রথম বাজীরাও
দাক্ষিণাত্য
উ: রায়গড়
হিন্দু পাদপাদশহি
গোলকোল্ডা
সৎনামি
পাঠান উপজাতি
শিবাজি
প্রথম বাজীরাও
দক্ষিণাত্য
পরমৌল
উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত
ঔরজেবের শাসনকালে কী কী অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিবর্তন হয়েছিল?
উঃ মনসবদারি ও জায়গিরদারি সমস্যা দেখা দিয়েছিল উরাজেবের শাসনকালের সময়। এর সঙ্গে কৃষি সংকট যুক্ত হয়েছিল। ঔরঙ্গজেব বিজাপুর এবং গোলকোন্ডা জয় করলো। অঞ্চলের সব থেকে ভালো জমিগুলি ঔরঙ্গজেব খাস জমি বা খালিগা জমি হিসেবে রেখেছিল। সেই জমিগুলি জায়গির হিসেবে দেওয়া হতো না। বরং এই খাস জমির রাজস্ব সরাসরি কেন্দ্রিয় কোষাগারে জমা হতো। সুতরাং জমির অভাব ছিল না তবে আয়গির হিসেবে দেওয়া যায়, এরকম ভালো জমির পরিমাণ কমে গিয়েছিলো। জমির উরত মুঘল শাসকেরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও বাড়াতে পারেনি, আর তার জন্য এই সমস্যা আরো গভীর হয়ে উঠেছিল।
কবে, কাদের মধ্যে পুরুন্দরের সন্ধি হয়েছিল। এই সন্ধির ফল কী হয়েছিল?
উ: ঔরঙ্গজেব, জয়সিংহ, শিবাজির মধ্যে পুরস্কারের সন্ধি স্বাক্ষর হয়। ১৬৬০ খ্রিস্টাব্দে এই সন্ধি হয়েছিল। শিবাজির এউ চুক্তির অনুযায়ী মুঘলদের ২৩টি দুর্গ ছেড়ে দিতে বাধ্য হয়েছিল। আর এই দুর্গ বলতে বোঝায় সে যুগের নিরাপত্তা রক্ষার প্রধান স্তম্ভ।
জাঠদের সঙ্গে মুঘলদের সংঘাত কেন বেঁধেছিল?
উঃ জাঠরা দিল্লি আগ্রা অঞ্চলের প্রধানত কৃষক ছিল। এই আঠাদের মধ্যে শুধু কৃষক নয় আনোকে আবার জমিদারও ছিল। জাহাশির ও শাহালহনের আমলে রাজস্ব দেওয়া নিয়ে জাঠাদের সঙ্গে মুঘলদের সংঘাত হতো।জাঠারা ঔরঙ্গজেবের আমলে তারা স্থানীয় এক জমিদারের নেতৃত্বে জোটবন্ধ হয়ে বিদ্রোহ করে, একটি আলাদা রাজ্যে গড়ে তুলতে চেয়েছিল এই ভাঠারা, মুঘলদের বিরুদ্ধে জাট-প্রতিরোধ ছিল একদিকে কৃষি বিদ্রোহ অন্যদিকে একটি আলাদা গোষ্ঠি পরিচয়ে জাঠারা একজোট হচ্ছিল। মুসঙ্গ সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মথুরার কাছে নারনৌল অঞ্চলে একদল কৃষক অস্ত্র ধরে। এই একদল কৃষক সৎনামি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠীর মানুষ ছিল। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পাঠান উপজাতিরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল।
শিবাজির সঙ্গে মুঘলদের দ্বন্দ্বের কারণ কী ছিল?
উঃ মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থার সমস্যা দেখা দেয় শাহাজাহানের শাসনকালের সময়। অনেক সময়ই মনসবদারদের পদ বা কাজ অনুযায়ী যা তাদের বেতন পাওয়ার কথা, তা দেওয়া হতো না। আবার অনেক সময় কৃষক বিদ্রোহের কারণে রাজস্ব আদায় না যেত না। শুধু তাই নয় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করাও সবসময় সম্ভব হয়ে উঠছিল না। মনসবদাররা বেতন না পেলে তাদের যতজন ঘোড়সওয়ারের দেখাশোনা করার কথা, ততজন আর তা দেখাশোনা করত না। মানে খাতায় কলাম হিসেবের সঙ্গে আসলে যা হচ্ছে তার তফাৎ বেড়েই চলেছিল।
বিজাপুর ও গোলকোণ্ডা জয়ের ফলে মুঘলদের কী সুবিধা হয়েছিল?
উঃ যখন ঔরঙ্গজেব বিজাপুর ও অলকোত্তা জয় করল তখন দাক্ষিণাত্যের বিশাল অঞ্চল মুঘলদের হাতে এসেছিল, ঔরঙ্গজেব দাক্ষিণাত্যের অঞ্চলের সব থেকে ভালো জমিগুলি খাসজমি হিসেবে তিনি রেখেছিলেন, এই খাস জমিগুলি জায়গির হিসেবে দেওয়া হতো না খাস জমির রাজস্ব সরাসরি কেন্দ্রিয় কোশাভারে জমা হতো।
মুঘলদের বিরুদ্ধে শিখরা কীভাবে নিজেদের সংগঠিত করেছিল ?
উ: শাহজাহান এবং জাহাঙ্গির আমলে শিল্পীদের সঙ্গে মুঘলদের সংঘাত হয়, রাজনৈতিক ছিল এই সংঘাতের চরিত্র। গুরুর প্রতি শিখরা অনুগত ছিল। তাই এই অনুগত নিয়ে অনেক সময়ে মুঘল রাষ্ট্রের সঙ্গে শিখদের দ্বন্দ্ব বেঁধে যেত। চতুর্থ গুরু রামদাসের ছেলে অর্জুন সব খ্রিস্টীয় ষোড়শ শতকের শেষের দিকে শিখদের গুরু হন। আর এই সময় থেকেই শিখদের বংশানুক্রমিক ভাবে গুরু নির্বাচন করা শুরু হয়। গুরু অর্জুনের ছেলে গুরু হরগোবিন্দ একসঙ্গে দুটি তলোয়ার নিতেন, এতে তিনি বোঝাতে চাইতেন সে শুধু ধর্মের ক্ষেত্রেই নয়, তাঁর রাজনৈতিক ক্ষমতাও আছে। তার মানে বোঝা যায় যে শিক্ষা উত্থান অনেকটাই একটা স্বাধীন শক্তির উত্থানের মতোই হয়ে উঠেছিল। আর তা মুঘল সরকারের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্মুর ছিল না। ঔরঙ্গজেবের ধর্মীয় নীতির বিরোধিতা করেন তাদের নবম শিখ গুরু তেগ বাহাদুর। কিন্তু শুধু এই ধর্মীয় কারণেই মুঘলু শিল্প সংঘাত হয়নি। তেগবাহাদুর এক পাঠানের সঙ্গে হাত মিলিয়ে পাঞ্চাবে মুঘল শাসনের বিরোধিতা করেছিলেন বলে শোনা যায়। মুঘলরা তেগবাহাদুরকে বন্দি করে হত্যা করেন। তেমবাহাদুরের মৃত্যুর পর বা এই ঘটনার পর শখরা পাঞ্জাবের পাহাড়ি এলাকায় চলে যায়। এবং সেখানেই দশম শিখ গুরু গোবিন্দ সিংহের নেতৃত্বে তারা সঙ্গা বন্ধ হয়। গুরু গোবিন্দ সিংহ ১৬৯৯ খ্রিস্টাব্দে একটি খালসা নামে সংগঠন তৈরি করেন। এই খালসার কাজ ছিল শিখদের নিরাপদে রাখা
গুরু গোবিন্দ সিংহই শিখদের পথ ঠিক করে দেন। গুরু গোবিন্দ সিখি মুঘলদের বিরুদ্ধে জয়ী হতে পারেনি এটা ঠিক, কিন্তু উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে মুঘলদের নিয়ন্ত্রণ ঠান্ডা বা শিথিল হয়ে গিয়েছিল।
মুঘল যুগের শেষদিকে কৃষি-সংকট কেন বেড়ে গিয়েছিল। এই কৃষি সংকটের ফল কী হয়েছিল?
উ: জায়গিরদারি এবং মনসবদারি সংকটের সঙ্গে সে যুগের কৃষি সংকট মুক্ত। ফসলের উৎপাদন এই সময় বেড়েছিল, ফসল উৎপাদন করলে কী হবে কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল। মুঘল মনসবদারেরা মারাঠা সর্দারদের সাহায্য নিতে যখন মুখ মনসবদাররা দাক্ষিণাত্যে যুদ্ধের সময় রাজস্ব আদায় করতো। এর থেকে বোঝা যায় যে হাই সকল অঞ্চলে আলগা হয়ে গিয়েছিল মুঘলদের নিয়ন্ত্রণ, এদিকে আবার খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জিনিসপত্রের দাম আবার বেড়ে যায়। এই মূল্যবৃদ্ধির কারণে অভিজাতরা জমি থেকে তাদের আয় আরও বাড়াতে চাইলেন। অভিজ্ঞতর অমিদার এবং কৃষিদের উভয়ের উপরে চাপ বাড়াতে থাকে। এই কারণে কৃষকরাও বিদ্রোহের পথে নেমে যায়। এই বিদ্রোহতে অনেক সময় জমিদাররাও কৃষকদের সাহায্য করত। এখনো হয়েছে যে অনেক সময় কৃষকরা রাজস্ব না দিয়ে তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেত। তাঁদের পালিয়ে যাওয়ার ফলে তখন তাঁদের ফেলে রাখা জমিতে আর চাষ হতো না। আর চায় না হলে রাজস্ব আদায় করা যাবে না। তাই সে সকল মনসবদার এই সকল জমিতে জায়গির পেড এখন তারাও ভালোভাবে অ'র ঘোড়সওয়ারের ভরণপোষণ করতে পারতো না, মুঘলদের হাতে দাক্ষিণাত্যের বিশাল অন্যল এসেছিল যখন ঔরঙ্গজে বিজপুর এবং গোলকোল্ডা জয় করলো। জমির উর্বরতা মুঘল শাসকের নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও বাড়াতে পারে নি। আর তার জন্য এই সমস্যা আরো গভীর হয়ে উঠেছিল।
মুঘল যুগের শেষ দিকে জায়গিরদারি ও মনসবদারি ব্যবস্থায় কেন সংকট তৈরি হয়েছিল? মুঘল সাম্রাজ্যের উপর এই সংকটের কী প্রভাব পড়েছিল?
উঃ মনসবদারি ও জায়গিরদারি ব্যবস্থার সমস্যা শাহজাহানের সময় থেকেই দেখা দেয়। অনেক সময় মনসবদারদের তাদের কাজ বা তাদের পদ অনুযায়ী যা তাদের বেতন বা পারিশ্রমিক পাওয়ার কথা, তা দেওয়া যেত না, এখনও হতো অনেক সময় আবার কৃষক বিদ্রোহের জন্য রাজস্ব আদায় করা যেত না। শুধু তাই নয় অনেক সময় দুর্নীতি নিয়ন্ত্রণ করাও সব সময় সম্ভব হচ্ছিল না। মনসন রেবা বেতন না গেলে তাদের হতঞ্জন ঘোড়সওয়ারের দেখাশোনা করার জন্য লোক থাকতো তখন আর তরুন দেখাশোনা করত না, তার মানে খাতায় রুমে হিসেবের সঙ্গে আসালে যা হচ্ছে, তার তফাৎ বেড়েই চড়েছিল। এই সমস্যাটি ঔরপাজেবের শাসনকলের সময় আরও বেড়েছিল।
জায়গিরদারি এবং মনসবদারি সংকটের সঙ্গে সে যুগের কৃষি সংকট যুক্ত। তাদের উৎপাদন এই সময় বেড়েছিল, ফসল উৎপাদন করলে কী হবে কৃষির উপর নির্ভরশীল মানুষের সংখ্যাও বেড়ে গিয়েছিল। মুঘল মনসবদাররা মারাঠা সর্দারদের সাহায্য নিতে যখন মুঘল মনসবরা দাক্ষিণাত্য যুদ্ধের সময় রাজস্ব আদায় করতো।এর থেকে বোঝা যায় যে ওই সকল অঞ্চলে ভাললগা হয়ে গিয়েছিল মুখহৃদের নিয়ন্ত্রণ, এদিকে আবার খ্রিস্টীয় সপ্তদশ শতকে জিনিস পত্রের দাম আবার বেড়ে যায়। এই মূল্য বৃদ্ধির কারণে অভিজ্ঞাতরা জমি থেকে তাদের আয় আরও বাড়াতে চাইলেন। অভিজাতরা জমিদার এবং কৃষিদের উভয়ের উপরে চাপ বাড়াতে থাকে। এই কারণে কৃষকরাও বিদ্রোহের পথে নেমে যায়। এই বিদ্রে হতে অনেক সময় জমিদাররাও কৃষকদের সাহায্য করত।
এখানো হয়েছে অনেক সময় কৃষকরা রাজস্ব দিয়ে তারা গ্রাম ছেড়ে পালিয়ে যেত। তাঁদের পালিয়ে যাওয়া ফলে এখন তাঁদের ফেলে রাখা জমিতে আর চাষ হতো না। আর চাষ না হলে রাজস্ব অনায় করা যাবে না। তাই যে সকল মনসবদার এই সকল জমিতে জায়গির পেত তখন তার ভালোভাবে আর ঘোড়সওয়ারের ভরণপোষণ করতে পারত না। মুঘলদের হাতে দাক্ষিণাত্যের বিশাল অঞ্চলে এসেছিল যখন উরাজের বিজাপুর এবং গোলকোল্ডা কর করো এই অঞ্চলের সব থেকে ভালো জমিগুলি ঔরনের খাস জমি খাসিসা জমি হিসেবে রেখেছিলেন। সেই জমিগুলি জায়গির হিসেবে দেওয়া হচ্ছে না। বরং এই খাস জমির রাজস্ব সরাসরি কেন্দ্রিয় কেয়াপবে জমা হতো না। বরং এই খাস জমির রাজ্য সরাসরি কেন্দ্রিয় কোষাগারে জমা হতো। সুতরাং জমির অভাব ছিল না তবে জায়গির হিসেবে দেওয়া যায় এরকম ভালো জমির পরিমাপ কমে গিয়েছিল। জমির উর্বরতা মুখ্য শসকেরা নতুন প্রযুক্তি ব্যবহার করেও বাড়াতে পারেনি। আর তার জন্য এই সমস্যা আরো গভীর হয়ে উঠেছিল।
সম্রাট ঔরঙ্গজেবের শাসনকালে মুঘল সাম্রাজ্যের সামগ্রিক অবস্থার বিষয়ে তোমার মতামত কী?
উঃ ঔরঙ্গজেবের শাসনকালের সময় সমাজ অনেক বড়ো হয়ে পড়েছিল এবং মনসব নিয়ে অভিজাতদের মধ্যে গোলমাল শুরু হয়েছিল। সেই সময় মারাঠাদের মধ্যে এক আঞ্চলিক শক্তির উত্থান হয়। এই মারাঠারা মুঘলদের সার্বভৌমত্বকে অস্বীকার করে। তার ফলে শিখদের সঙ্গে মুঘলদের সম্পর্কও ঠিক বা নষ্ট হয়ে উঠেছিল। এতোদিন ধরে সে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী হিসেবে মুঘলরা প্রতিষ্ঠা করেছিল সেই ধারণায় আঘাত করা হয়। জাহাঙ্গির ও শাহজাহানদের আমলে রাজস্ব দেওয়া নিয়ে জাঠাদের সঙ্গে মুখলদের সংঘাত হতো। পাঠারা ঔরঙ্গজেবের আমাকে তার স্থানীয় এক জমিদারদের নেতৃত্বে ভোটিবন্ধ হয়ে বিদ্রোহ করে। একটি আলাদা রাজ্য গড়ে তুলতে চেয়েছিল এই জাঠারা। মুঘলদের বিরুদ্ধে জাঠ প্রতিরোধ ছিল একদিকে কৃষক বিদ্রোহ অন্যদিকে একটি আলাদা পাটি পরিচয় জাঠারা একজোট হচ্ছিল। মুঘল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে মথুরার কাছে নারনৌল অঞ্চলের একদল বৃহব অস্ত্র ধরে। এই এক দল কৃষক সৎনামি একটি ধর্মীয় গোষ্ঠির মানুষ ছিল। উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পাঠান উপজাতিরা মুঘলদের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেছিল। মুফ প্রশাসনের কেন্দ্রীয় স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলন হল এই সকল বিদ্রোহগুলি, শুধু তাই নয় ঔরঙ্গজেবের শাসনকালের সময় থেকে কৃষি সংখ্যা বেড়ে গিয়েছিল। এই কৃষি সংকট বেড়ে গিয়েছিল। এই কৃষি সংকট এটিও সেই বিদ্রোহগুলির মধ্যে একটি কারণ।
ধরো তুমি একজন মারাঠা সর্দার। তোমার সঙ্গে একজন জাঠ কৃষকের দেখা হয়েছে। মুঘল শাসনের নানা দিক নিয়ে ওই জ্ঞাঠ কৃষকের সঙ্গে তোমার একটি কথোপকথন শেখে।
উঃ আমি (মারাঠা সর্দার)– কেমন আছো ভাই? শুনলাম তোমাদের এ বছর ফসল খুব ভালো হয়েছে? তা কত কর নিল তোমাদের থেকে মুল সর্দার
জাঠ কৃষক–আর তত নেবে? পঞ্চাশ শতাংশ চেয়েছিল। কিন্তু চাইলেই হল আমাদের পুরো গ্রাম এই কর দেবে না বলে দিয়েছে। শুধু তাই নয় আমরা এবার ঠিক করেছি যে আমরা অস্ত্র হাতে এর প্রতিরোধ করবো।
আমি (মারাঠা সর্দার)—সেই ভালো। এখন মুঘলরা শুধু তর্জন গর্জনই করবে আর কিছু ভারা করতে পারবে না। তারা ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছে যে শিশুরা এখন বিদ্রোহের পথে নেমেছে। সীমান্ত অঞ্চলে পাঠানরা বিদ্রোহ শুরু করেছে। শুধু তাই নয় মুঘল দরবারেও নাকি প্রচও রজনীতি চলছে। বড়ো বড়ো আমির ওমরাহরা নাকি ক্ষমতার লড়াই শুরু করেছে। এবার মনে হচ্ছে যে ঔরঙ্গজেবের দিন ফুরিয়ে এলো বলে? কী বলে ভাই
জাঠ কৃষক—হ্যা ভাই এবার মুসলিম রাজাতের দিন শেষ হয়ে এলে বলে এবার মনে ভেবেও আনন্দ হয় যে হিন্দুদের ভালো সময় এলে গেলো বলে।
আমি (মারাঠা সর্দার)– যাক কথাগুলো শুনে মনে শান্তি হয় যে আমাদের আর মুঘলদের অধীনে থাকতে হবে না, এবার আমরা স্বাধীন।
জাঠ কৃষক—হ্যাঁ ভাই তা যা ঠিক বলেছো, এবার চলি আবার পরে কথা হবে। ভালো থেকো।
আমি (মারাঠা সর্দার)- হ্যাঁ তোমরাও ভালোভাবে থেকো। চলি ভাই
ধারে তুমি সম্রাট ঔরঙ্গদেবের দরবারে একজন ঐতিহাসিক। তুমি মারাঠা, শিখ, জাঠ ও সৎনামিদের লড়াইয়ের ইতিহাস লিখছ। কীভাবে তুমি তোমার লেখায় এই লড়াইগুলির ব্যাখ্যা করবে?
উ: আমি যদি একজন ঐতিহাসিক হই, তাহলে লড়াই সম্পর্কে ব্যাখা করে বলব। মহারাষ্ট্রে মারাঠা শক্তি যেভাবে লুটপাট চালাচ্ছে সকলে তাদের ডাকাত বলেই মেনে নেবে। মুঘলদের কর না দিয়ে সরকারি খাজনা লুট করে দেশের শাস্তি ভঙ্গ করছে এই মারাঠারা। শিষরা আবার নিজেদের গেরুর কথায় চলে। তারা সরকারি শাসনব্যবস্থা মানে না। আলাদা করে পরিচালনা করতে চায়। কিন্তু এই শিখরা পাঠানদের সাথে যুক্ত হয়ে বিদ্রোহের জন্য আগুন জালাচ্ছে।
জাঠরা প্রধানত কৃত, তাদের মধ্যে অনেকে জমিদার আছে। জাহাঙ্গীর ও শাহাহানের আমলে রাজস্ব দেওয়া নিয়ে সংঘাত হত। জাঠরা পৃথক রাজ্য গঠন করতে চেয়েছিল।
মধুর অঞ্চলের কাছাকছি নারনৌপ নামক এক অঞ্চলে একদল কৃথক মুন্সল সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে অস্ত্র ধরে,সৎনামী নামে এক ধর্মীয় গোষ্ঠির মানুষ এখানে বসবাস করত। এরও কর দিতে চায়নি এবং নানা বিদ্রোহ করেছে
ধরো তুমি একজন অভিজাত জায়গিরদার, সপ্তদশ শতকের শেষদিকে তোমার সঙ্গে তোমার জমির কৃষকদের সম্পর্ক কেমন হবে বলে মনে হয়?
উ: আমি আমার কৃষকবর্গের সাথে সম্পর্ক ভালো করেই রাখবো। দিন দিন জিনিসপত্রের দাম ভীষণ ভাবে বেড়ে চলেছে। তাই কৃষকদের সাথে ভালো সম্পর্ক তৈরি করে জমিতে ভালোভাবে চাষাবাদ করার যেহেতু খাজনা বা কর দিতে হবে তাই ফসল ভালোভাবে না চাষ করতে তা দেওয়া যাবে না। তখন নানা অশন্তির সৃষ্টি হবে এবং আমি যদি কৃষকদের উপর অত্যাচার করি তাহলে তার আরও ভালো করে কাজ করবে না। তাই তাদের সাথে একটু ভালো কথা বলে বা অনেক সময় একটু রেগে কথা বলে বুঝিয়ে তাদের দিয়ে কাজ করিয়ে ফসল উৎপন্ন করিয়ে নেব এবং তা বিক্রি করে সঠিক সময় খরুল দিয়ে দেওয়া যাবে।
মন্তব্যসমূহ