ভেবে দেখো খুঁজে দেখো
১। শূন্যস্থান পূরণ করো :
(ক) (শেরশাহ/গোপাল / মন্তেস্থ ) __ তাঁর অধীন অঞ্চলগুলিকে 'সরকার'-এ ভাগ করেছিল। উঃ শেরশাহ।
(খ) নিজেরা নিজেদের মধ্যে থেকে শাসক নির্বাচনের পদ্ধতিকে বলে ___ (গণতন্ত্র/রাজতন্ত্র/যুক্তরাষ্ট্র)।
উ: গণতন্ত্র।
(গ) (ভারতের/জাপানের/ইংল্যান্ডের) ___ সংবিধান পৃথিবীর বৃহত্তম সংবিধান।
উঃ ভারতের।
(ঘ) জনগণ যে শাসন ব্যবস্থায় নিজেই নিজের অধীন, তাকে বলে ___ (সংবিধান / সভা ও সমিতি/স্বায়ত্তশাসন)।
উঃ স্বায়ওশাসন।
(ঙ) অনেকগুলি গ্রাম নিয়ে হয় একটা ___ (ব্লক/জেলা/পৌরসভা)।
উ: ব্লক।
২। 'ক'র সঙ্গে 'খ'স্তত্ত্ব মিলিয়ে লেখো:
'ক' স্তম্ভ
সরকার
ড. বি. আর আম্বেদকর
যুক্তরাষ্ট্র
এথেন্স
জেলা পরিষদ
'খ' স্তম্ভ
গ্ৰিস
স্বায়ত্তশাসন
ভারতীয় সংবিধান
ফারসি
ভারত
উত্তর: 'ক' স্তম্ভ
ড. বি. আর আম্বেদকর
যুক্তরাষ্ট্র
এথেন্স
জেলা পরিষদ
'খ' স্তম্ভ
ভারতীয় সংবিধান
ভারত
গ্রিস
স্বায়ত্তশাসন
৩। সংক্ষেপে (৩০-৫০টি শব্দের মধ্যে ) উত্তর দাও :
বর্তমানে ভারতে শাসন ব্যবস্থার কী কী বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়?
উ: আমাদের বর্তমান ভারতবর্ষে শাসন ব্যবস্থার অনেক বৈশিষ্ট্য আমরা তাদের জীবন চলার পথে লক্ষ করতে পারি। আমাদের বর্তমান ভারতবর্ষে একটি সংশোধীয় শাসন ব্যবস্থা আছে। সরকার দ্বারা আমাদের দেশ শাসতি হয়। প্রতিটি রাজ্যরই একটি নিজস্ব সরকার আছে। আমাদের কেন্দ্রে শাসন কেন্দ্রীয় সরকার এবং অনেক রাজ্যে যুক্তরাষ্ট্রীয় শাসন ব্যবস্থা আছে।
যুক্তরাষ্ট্র ও সংবিধান কাকে বলে?
উঃ আমরা দেশের জনগণের নিজেদের শাসন নিজেই নির্বাচন করে থাকি ভোটের মাধ্যমে। আমাদের সংবিধানে কেন্দ্রীয় সরকার ও রাজ্য সরকার দুই সরকারের ক্ষমতার কথা বলা আছে। সেই শাসন ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় ও রাজ্য দু-রকম সরকারের ক্ষমতাই স্বীকার করা হয়, তাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় বলা হয়।
আমাদের দেশের কিছু নিয়মকানুন বা আইন শৃঙ্খলা আছে। এই নিয়মকানুন বা অইিন শৃঝলা মেনেই দেশ শাসন হয়ে থাকে। এইগুলি লেখা হয়েছে একটি বইতে। এই নিয়মগুলিকে সংবিধান বলা হয়।
সরকারের কাজ কী কী?
উ: আমরা দেশের নাগরিকেরা নিজেদের সরকার নিজেরাই নির্বাচন করে থাকি। তামাদের নির্বাচিত করা সরকারের কিছু গুরুত্বপূর্ণ কাজ হয়ে থাকে। যেমন দেশের নিয়মকানুন আইন-শৃঙ্খলাকে বজায় রাখা। জনগণের সুবিধা অসুবিধা দেখা। রাস্তাঘাট নির্মাণ করে দৃষ্ণ মুগ্ধ রাখা, দেশের কর আদায় করা ইত্যাদি সবই হল সরকারের কাজ।
স্বায়ত্তশাসন বলতে তুমি কী বোঝো?
উ: আমাদের দেশের জনগণ যে শুধু নিজেদের দেশের শাক নির্বাচন করে তাই না তারা নিজেরাও এই শাসনে অংশগ্রহণ করে। এই অংশগ্রহণ করাকেই স্বায়ত্তশাসন বলে থাকে।
নির্বাচনকে সাধারণ ভাবে কী বলে? ভারতে কত বছর অন্তর সরকার নির্বাচন হয়? সরকার নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কী সম্পর্ক?
উঃ নির্বাচনকে সাধারণ ভাবে 'ভোট হওয়া' বলে। ভারতে পাঁচ বছর অন্তর সরকার নির্বাচন হয়। নির্বাচন বলতে দেশের জনগণ নিজেদের শাসক ভোটের মাধ্যমে বেছে নিয়ে নির্বাচিত করা। আমরা আমাদের শাসনকর্তাকে ভোটের মাধ্যমে নিজেরাই বেছে নিয়ে থাকি। তাই নিজেরা নির্বাচিত করা শাসককে দেশ শাসনের অধিকার দিয়ে থাকি। এই ব্যবস্থাকে 'গণতন্ত্র' বলা হয়। জনগণ নিজেরাই শাসন ব্যবস্থা ও নানা কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করেন। জনগণের সরাসরি যোগগানের মধ্য দিয়েই শহর বা নগর ও গ্রামের গণতা বেড়ে ওঠে। জনগণ নিজেরাই দেশের ব্যবস্থা ঠিক করে। নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ বেছে নেন নিজেদের দেশ চালানোর প্রতিনিধিকে। গণতন্ত্র ও নির্বাচনের সঙ্গে এটাই সম্পর্ক।
ভারতকে কেন গণতান্ত্রিক ও যুক্তরাষ্ট্র বলা হয়? দেশ পরিচালনায় সংবিধানের ভূমিকা বলে তুমি মনে করো?
উঃ আমাদের ভারতবর্ষে একটাই কেন্দ্রীয় সরকার আছে। ভারতবর্ষ খুব বড়ে দেশ তাই শুধু কেন্দ্রীয় সরকার তা শাসন করা প্রকার পক্ষে সম্ভব নয়। কারণ এই ভারতে অনেকগুলি রাজ্য আছে আর এই প্রত্যেকটি রাজ্যতে একটি করে সরকার আছে। রাজ্যে দেখাশোনার জন্য সেই সরকার থাকে তাকে রাজ সরকার বলা হয়। আমাদের দেশের জনগণেরা যেমন সংবিধান অনুসারে কেন্দ্রের জন্য কেন্দ্র সরকারকে বেছে নেন তেমনি সেই রাজ্যের মানুষেরা ভোটের মাধ্যমে তাদের রাজ্য সরকারকে বেছে নেয়। এই কেন্দ্র সরকার এবং রাজ্য সরকার এই দুটো সরকারকে দেশের এবং রাজ্যের মানুষেরা ভোট দিয়ে শাসকের আসনে বসান।
কেন্দ্র সরকার বা রাজ্য সরকার থেকে দেশের বা রাজ্যের মানুষ তাদের শাসনকর্তা হিসেবে ভোট দিয়ে শাসকের আসনে বসিয়েছেন এই দুই সরকারের কিছু কাজ বা ক্ষমতা আছে। এই দুই সরকারে কাজ বা ক্ষমতা দুটোই সংবিধান লেখা আছে যার অনুসারে এই দুই সরকার মানে কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকারে কাজ করবে। সেই দেশে একসাথে এই কেন্দ্র এবং রাজ্য সরকার দু ধরনের সরকার একই শাসন ব্যবস্থা থাকে তাকে যুক্তরাষ্ট্রীয় বলা হয়।
আমাদের ভারত দেশের একটি লিখিত সংবিধান আছে যার প্রধান রূপকার হলেন ড. বি. আর আম্বেদদের, আমাদের ভারতের সংবিধান ১৯৪৯ খ্রিস্টাব্দে গ্রহণ করা হয়। এবং ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে ২৬ জানুয়ারি এই সংবিধানের কার্যকর হয়। আমাদের ভারতের সংবিধান পৃথিবীর সব দেশের থেকে বড়ো। এই সংবিধানের এত ধরা-উপধারা আর পৃথিবীর অন্য কোনো দেশে নেই। আমাদের সংবিধানে দেশের জনগণ তাদের পছন্দ মতন দেশের কোনো এক ব্যক্তিকে দেশ শাসন করার জন্য নির্বাচন করার অধিকার আছে। শুধু তাই নয় দেশের জনগণ প্রত্যেক পাঁচ বছর অন্তর ভোটের মাধ্যমে নিজেদের শাসক বেছে নেওয়ার অধিকারের কথা বলা আছে।
সরকারের কয়টি ভাগ? এই ভগ্নগুলি কোন্টি কী কাজ করে? বিচার বিভাগকে কেন আলাদা করে রাখা হয় ?
উঃ আমাদের সরকারে কাজকর্ম চালানোর জন্য তিনটি বিভাগ রয়েছে। সেই তিনটি বিভাগ হল আইন বিভাগ,শাসন বিভাগ ও বিচার বিভাগ এই তিনটি দায়িত্ব রয়েছে। এই দায়িত্ব বা কাগুলি সবই হবে ভারতের সংবিধান অনুসারে। সেই কাজগুলি হল—
আইন বিভাগ—এই আইন বিভাগে দেশ বিভাবে পরিচালনা হবে তা এখানে তৈরি হয়।
শাসন বিভাগ—এই বিভাগে আইন বিভাগের তৈরি করা আইন কীভাবে সরকার পরিচালনা করবে তা গঠন হয়ে থাকে।
বিচার বিভাগ—ভারতের সংবিধান অনুসারে দেশ শাসন হচ্ছে কিনা না জনগণের স্বার্থ রক্ষা হচ্ছে কিনা এই সমস্ত কিছু দেখা করে বিচার বিভাগ। শুধু তাই নয় কেউ যদি কোনো নিয়ম ভেঙে কিছু করে থাকে তার প্রতি ব্যবস্থা নেওয়ার দায়িত্ব থাকে এই বিচার বিভাহের ওপর। প্রত্যেকটি দেশেরই বিচার থেকে বাকি দুটি বিভাগ মানে আইন ও শাসন বিভাগ থেকে আলাদা পা হয় তার কারণ দেশের সুবিচার পথ বন্ধ না হয়ে থাকে এক কথায় বলা হয় ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ, এই ক্ষমতা স্বতন্ত্রীকরণ শব্দটির অর্থ হল আলাদা করা, তার উদ্দেশ্য হলে গণতন্ত্র যাতে মজবুত থাকে সেই কারণেই এই নীতি নেওয়া হয়। যিনি প্রথম ভাই নীতির কথা বলেছিলেন তিনি ছিলেন ফান্ডের এক দার্শনিক যার নাম ছিল মন্তেস্কু।
পৌরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি কী কী কাজ করে?
উঃ আমাদের পশ্চিমবঙ্গে এই স্বায়ত্তশদন যেই দুভাগে ভাগ করা হয়েছে মানে পৌরসভা ও গ্রাম পঞ্চায়েত। এই পৌরসভা থাকে ছোটো ছোটো নগর বা শহরে। 'পৌর' কথাটার মানে হল বাসিন্দারা যাদের আঠারো বলা বা তার বেশি বয়স হয় তারা ভোট দিয়ে নিজেদের পৌরসভার শাসক বেছে নেয়। যিনি পৌরসভার শাসনকর্তা তাকে পৌরপ্রধান বলা হয়। এই পৌরপ্রধানের সেই নগর বা শহরের প্রতি কিছু কজ থেকে থাকে। যেমন তার কাজ হল শহরের উন্নয়ন করা, শহরের রাস্তাঘাট উন্নয়ন করে পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা রাখা শুধু তাই নর শহরের ছাত্র-ছাত্রীদের শিক্ষাদানের জন্য বিদ্যালয় গড়ে তোলা, সুচিকিৎসার জন্য হাসপাতাল গড়ে তোলা এই সহ হল একটা পৌরপ্রধানের কাজ। আমাদের শহরের বা নগরের খাতে ভালো হয় তার দায়িত্ব নেওয়া হলে পৌরপ্রধানের কাজ।
শহারে বা নগরে ঠিক যেমন পৌরসভা এবং তার পৌরপ্রধান থেকে থাকে ঠিক তেমনি গ্রামের ক্ষেত্রে পঞ্চায়েত থাকে। গ্রামের বাসিন্দারা একই ভাবে ভোটের মাধ্যমে নিজেদের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচিত করে থাকে। গ্রামের বাসিন্দারা একই ভাবে ভোটের মাধ্যমে নিজেদের গ্রাম পঞ্চায়েত নির্বাচিত করে থাকে। একজন পৌরপ্রধানের যা যা করণীয় শহরের বা নগরের উন্নয়নের জন্য ঠিক তেমনি গ্রামের পায়েত প্রধানের সেই একই দায়িত্ব থেকে থাকে তার গ্রামে প্রতি। যেমন গ্রামের পথঘাটের উন্নয়ন করা, রাস্তাঘাট পবিস্তার পরিচ্ছন্নতা রাখা, গ্ৰামের শক্তি ও নিয়ম শৃঙ্খলাকে বজায় রাখা, ঠিক ভাবে পানীয় জল সব সরবরাহ করা, বিদ্যালয় ও হাসপাতাল গড়ে তোলা ইত্যাদি।
পশ্চিমবঙ্গে স্বায়ত্বশাসন ব্যবস্থা
উঃ আমাদের দেশের নাগরিকরা যে শুধু তাদের শাসকে নির্বাচন করে তা নয়। তারা নিজেরাও এই শাসনে অশে নিয়ে থাকে অ'র এই সরাসরি শাসনে অংশগ্রহণ করাকে 'স্বায়তশাসন' বলে। সেখানে দেশের নাগরীক বাসিন্দারা নিজের অধীন সেই শাসন ব্যবস্থা হলে স্বায়ত্তশাসন হল নৌরসভা এবং গ্রাম পঞ্চায়েত। শহর বা নগরের জন্য থাকে পৌরসভা আর গ্রামের জন্য থাকে গ্রাম পঞ্চায়েত।
এই ক্ষেত্রে আমর আগেকর ইতিহাসের কিছু আভা দেখতে পাই যেমন আগের যুগেও ছিল সভা ও সমিতি। এই স্বায়ত্ত শাসনের 'স্ব' শব্দটির অর্থ হল নিজের এবং 'আয়' মনে হল অধীনে। পুরো কথাটার মানে দ্বারায় নিজের অধীনে।
প্রাচীনকালে ভারতে ও অন্য কোথাও গণতন্ত্রের কথা জানা যায় কী? সেই গণতন্ত্র কেমন ছিল বলে তুমি মনে করো?
উ: আমাদের ভারত হল একটি গণতন্ত্র রাষ্ট্র তার কারণ হল আমাদের দেশের জনগণেরা নিজেরা নিজেদের শাসনকর্তাকে বেছে নেয়, যাকে সরকার বলি। এই সরকারকে আমরা ভোটের মাধ্যমে বেছে নিয়ে থাকি সংবিধান অনুসারে। শুধু এই আজকের আধুনিক দিনগুলিতে এই সরকার বেছে নেওয়ার প্রথা শুরু হয়নি। শোনা যায় আজ থেকে প্রায় আড়াই হাজার বছর আগে এই সরকার নির্বাচন করার প্রথা শুরু হয় গ্লিস দেশে এত্থেদের মধ্যে। সেই দেশের লোকেরা একটি কলসি নিত তার মধ্যে কিছু ভাঙা কলসির টুকরোগুলোকে ভালে কলসির মধ্যে ফেলতে যার পক্ষে বেশি কলসিং টুকরো জমা হত সেই হতো তাদের শাসনকর্তা, যেমন আজকের দিনে মানুষ ভোটের মাধ্যমে নিজেদের শাসক বেছে নিয়ে থাকে। আর এই ভোটের প্রথা বা নির্বাচন করা সবই হয় আমাদের ভারতের সংবিধান অনুসারে।
৫। কল্পনা করে লেখো: (১০০-১৫০টি শব্দের মধ্যে)
ধরো তুমি একজন পৌর-প্রতিনিধি/পঞ্চায়েত সদস্য, তোমার স্বনীয় অঞ্চলের উন্নতির করার জন্য তুমি কী কী কাজ করবে?
উঃ আমি যদি একজন পৌর প্রতিনিধি হয়ে থাকি তাহলে আমি আমার শহরের উন্নয়নের জন্য যথাসম্ভব চেষ্টা করবো। আমি শহরের রাস্তা-ঘাট পাড়ে তুলবো। শহরের জনগণের জন্য পরিস্কার পানীয় জল সরবরাহ করবো।সু-চিকিৎসার জন্য হাসপাতাল ও শিক্ষাদানের জন্য বিদ্যালয় গড়ে তুলবো। শহরের বড়ো রাস্তার ধারে মানুষের ইটাল জন্য ফুটপাত তৈরি করবো। ছেলেদের খেলার জন্য মাঠ তারপর বাচ্চাদের জন্য ছোটো ছোটো পার্ক তৈরি করবো।সেই পার্কে থাকবে দোলনা বাচ্চাদের খেলার জন্য কিন্তু উনি ইত্যাদি। তাছাড়া জনগণের হাতে সুস্থ থাকে তার ব্যবস্থা নেওয়া যেমন কোথাও যদি অপরিচ্ছন্ন জল জমে থাকে তাকে পরিষ্কার রাখা যাতে তার থেকে মশা মাছি না জন্মাতে পারে। এই মশা-মাছি মারার জন্য অসুর দেওয়া। তারপর শহরের হাসপাতালগুলিতে বিনামূল্যে চিকিৎসা কেন্দ্র খুলবো যাতে গরিব ভাই-বোনেলের সুচিকিৎসা হয়। রাস্তার ধারে বা ফুটপাতে আলোর ব্যবস্থা করবো যাতে পথচারিদের কোনো অসুবিধা না হয়। তারপর আমার শহরের নাগরিকদের পাশে অসময় এসে দাঁড়াবো তাদের সুবিধা-অসুবিধার কথা শুনবো এবং তার সুবিচার সমালন করার চেষ্টা করবো। এইগুলি হবে আমার কাজ।
ধরো তুমি ভারতের একজন সাধারণ মানুষ। তুমি তোমার অঞ্চলের উন্নতি করতে চাও কি। কীভাবে তুমি সেই উন্নতির পরিকল্পনা করবে?
উঃ আমি আমার অঞ্চলের জন্য সেই উন্নতি চাই সেগুলি হল—আমাদের অঞ্চলে পানীয় জলের খুব অসুবিধা তার কারণ যতটা কলের প্রয়োজন তা নেই। আমাদের অঞ্চলে কিছু কালের ব্যবস্থা করব আমরা ঠিকভাবে পানীয় জল পাই,শুধু তাই নয় আমাদের অঞ্চলের সু-চিকিৎসার জন্য হাস্পাতালে ঔষধ বা ভালো কোনো চিকিৎসাকেন্দ্র নেই। আমি চাই আমাদের সুচিকিৎসার জন্য কিছু চিকিৎসাকেন্দ্র করব যাতে পরীব মানুষেরা বিনামূল্যে সেই সুবিধাটুকু পায় রাস্তাঘাট অনেক জায়গায় ভেঙে গেছে, বৃষ্টি হলে তাতে এক হাঁটু জল হয়ে যায় যার কাল যানবাহন বা মানুষের চলাফেরার খুব অসুবিধা হয়, আমি চাই এই রাস্তাগুলি যাতে তাড়াতাড়ি ঠিক করতে না হলে ছাত্র-ছাত্রিদের খুব অসুবিধা হবে। আর আমাদের অঞ্চলে ভালো কোনো মাঠ নেই যেখানে অঞ্চলের ছেলেরা বা বাচ্চারা গিয়ে খেলাধুলো করবে। আমি চাই তাদের জন্য একটা মাঠ তৈরি হোক যাতে সারাদিনের ক্লপ্তি মিটিয়ে বাচ্চারা বা ছেলেরা এই মাঠে এসে খেল ধুলো করতে পারে। আর সেটা প্রধান জিনিস সেটা হল অঞ্চলে শিশুদের জন্য বিদ্যালয় খোলা হোক যাতে তারা সঠিক শিক্ষাদান পায়। আমি আমার অঞ্চলের উন্নয়নের জন্য এই ব্যবস্থাগুলি চাই।
ধরো পাল যুগের বাংলার একজন সাধারণ লোকের সঙ্গে তোমার হঠাৎ দেখা হয়ে গিয়েছে। তোমরা রাজতন্ত্র, গণতন্ত্র এসব নিয়ে গল্প করছো তোমাদের সেই কথাবার্তা নিয়ে সংলাপ লেখো :
উ: আমি— একটু শুনবেন? আপনি এরকম পোষাক কেন পরেছেন। আপনি কি কোনো যাত্রাপলায় অংশগ্রহণ করেছেন নাকি?
প্রাচীন বাংলার মানুষ—না ভাই আমি কোনো যাত্রাপালায় অংশগ্রহণ করিনি।
আমি—তাহলে এরকম অদ্ভূত পোষাক করার কারণ কী? কিছু মনে না করেন যদি এর কারণটা বলবেন?
প্রাচীন বাংলার মানুষ—এতে মনে করার কিছু নেই। আসলে আমি প্রাচীন বাংলার একজন সাধারণ মানুষ।
আমি – ও! আচ্ছা তা আপনি এখানে হঠাৎ?
প্রাচীন বাংলার মানুষ—আসলে আমি এখানের মানুষের এবং রাষ্ট্র ব্যাবস্থার পরিবর্তন দেখতে এসেছি। সে সময়ের সাথে সাথে কী কী পরিবর্তন হয়েছে।
আমি–আচ্ছা তা কী কী দেখলেন?
প্রাচীন বাংলার মানুষ—এখানে এসে দেখছি আগের দিনগুলির থেকে এখানকার দিনগুলি পরিবর্তন হয়ে অনেক ভালো হয়েছে। আগে যেমন আমরা অত্যাচারী রাজাদের অধীনে ছিলাম তা এখন আর নেই। তোমরা খুব সুখে আছো।
আমি– তাহলে আপনার সেই অত্যাচারী রাজার শসান থাকতেন কেন?
প্রাচীন বাংলার মানুষ—কী করবো? তোমরা এখন গণতন্ত্র রাষ্ট্রে বসবাস করছো নিজেরা নিজেদের শাসনকর্তাকে বেছে নিচ্ছো। কিন্তু আমাদের রাজতন্ত্রর সময় এই সুবিধাটা ছিলো না। তখন যে রাজা হতো তারই অধীনে, তার শসন অনুযায়ী চলতে হতো, আর তা না করলে বিদ্ৰোহ বা যুদ্ধ ছাড়া কিছুই হতো না।
আমি- তাহলে আপনার মতে আমাদের গণতন্ত্র রাষ্ট্র আপনার পছন্দ হয়েছে?
প্রাচীন বাংলার মানুষ–অবশ্যই তোমরা খুব সুখে আছো। আমাদের সময় তো আর এই শাসক নির্বাচন করার সুবিধা ছিলো না তা তোমরা এই সুবিধা পেয়ে দেখছি ভালোই আছো।
আমি—হ্যাঁ, আমরা খুব সুখে শান্তিতে আছি।
মন্তব্যসমূহ